কে এই নারী, যিনি পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গোয়েন্দা সংস্থার চাবি?

এমআই৬ (MI6) সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (SIS) ইয়ান ফ্লেমিংয়ের কাল্পনিক এজেন্ট জেমস বন্ডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। এবার এই সংস্থাটি আবারও আলোচনায় এসেছে, তবে এবার কোনো মিশন বা সিনেমার জন্য নয়। বরং, এর সর্বোচ্চ পদে একজন নারী কর্মকর্তার নিয়োগের কারণে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ব্লেজ মেট্রেভেলি এই সংস্থার ১৮তম প্রধান হবেন।

স্টারমার কী বললেন?
স্টারমার বলেছেন, “ব্লেজ মেট্রেভেলির ঐতিহাসিক নিয়োগ এমন এক সময়ে হয়েছে যখন আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজ আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।” তিনি আরও বলেন, “ইউনাইটেড কিংডম অভূতপূর্ব মাত্রার হুমকির সম্মুখীন, তা সে আক্রমণকারীই হোক যারা আমাদের জলসীমায় তাদের গুপ্তচর জাহাজ পাঠায় অথবা হ্যাকারই হোক যাদের সাইবার ষড়যন্ত্র আমাদের সরকারি পরিষেবাগুলিকে ব্যাহত করতে চায়।” উল্লেখ্য, এমআই৬ প্রধান হলেন একমাত্র প্রকাশ্যে মনোনীত সদস্য এবং তিনি সরাসরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করেন।

ব্লেজ মেট্রেভেলি কে?
ব্লেজ মেট্রেভেলি এমআই৬-এ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মহাপরিচালক। এর আগে, তিনি এমআই৫ (MI5)-এ পরিচালক-স্তরের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একজন কর্মজীবনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা, যিনি ১৯৯৯ সালে একজন কেস অফিসার হিসেবে এই সংস্থায় যোগ দেন। তিনি সংস্থার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে অপারেশনাল ভূমিকায় কাটিয়েছেন। তিনি কেমব্রিজের পেমব্রোক কলেজে নৃবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

১৯০৯ সাল থেকে ফাইভ আইজ-এর সুরক্ষা
এমআই৬ (MI6) বিশ্বের প্রাচীনতম গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। এটি ইউনাইটেড কিংডমের একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, যার প্রধান কাজ হলো তার ফাইভ আইজ (Five Eyes) অংশীদারদের সমর্থনে বিদেশী নাগরিকদের উপর মানব গোয়েন্দা তথ্য গোপনভাবে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা। এটি ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯২০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে এমআই৬ (MI6) রাখা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *