হাতের কাঁপুনি একটি বিপজ্জনক রোগ, সেরে ওঠার জন্য এই কাজগুলি করুন, না হলে সমস্যায় পড়বেন

স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সবই ভালো থাকে, তাই আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন, সামান্য ভুলও বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আজকাল মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, মানুষের দৌড়াদৌড়ির জীবন চাপে পূর্ণ থাকে।
চাপের কারণে শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোন বাড়ে, যার ফলে হাতে কাঁপুনি হতে পারে। এছাড়াও, কফি, চায়ে থাকা ক্যাফিনের অতিরিক্ত সেবন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে, যার ফলে হাত কাঁপতে শুরু করে। এই কাঁপুনি অস্থায়ী হতে পারে, কিন্তু যদি চাপ বা ক্যাফিনের পরিমাণ ক্রমাগত বেশি থাকে, তাহলে এই সমস্যা গুরুতর হতে পারে। চাপ ব্যবস্থাপনার জন্য যোগা, ধ্যান, এবং ক্যাফিনের সেবন সীমিত করা এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
হাত কাঁপা, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ট্রে মর বলা হয়, এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এই রোগটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, না হলে এটি আপনার সামনে এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরবে। মনে রাখবেন, যদি আপনার বা আপনার কোনো নিকটাত্মীয়ের ক্রমাগত হাত কাঁপার সমস্যা অনুভূত হয়, তাহলে এটিকে স্বাভাবিক মনে করে মোটেও উপেক্ষা করবেন না। সময় থাকতে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন এবং পরামর্শ নিন। যদি আপনারও হাত কাঁপে, তবে এটি এই রোগগুলির ইঙ্গিত হতে পারে। কম্পন একটি স্নায়বিক অবস্থা, যেখানে হাত, মাথা, বা শরীরের অন্যান্য অংশে অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি হয়। এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে। মনে রাখবেন, লেখা, খাওয়া, বা বাসন ধরায় অসুবিধা হওয়া এর সাধারণ লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ বা থেরাপির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। দেখা যায় যে, এই রোগ সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু তরুণদের মধ্যেও এর ঘটনা সামনে আসছে।
সুস্থ হওয়ার উপায়
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে সবার আগে চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। কফি, চা, মদ থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনার জীবনযাত্রায় যোগাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ডাক্তারের সাথে দেখা করে পরামর্শ নিন
আপনি যদি কাঁপুনি-এর মতো রোগে ভুগছেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করুন যাতে কোনো মারাত্মক রোগ না হয়। ডাক্তার যা বলেন, তার ভিত্তিতে আপনার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন। ডাক্তার যে যোগা বা থেরাপি বলেন, তা অনুসরণ করুন। এই সমস্যা থেকে বাঁচুন।