ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলের সাথে চলমান যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত, তবে এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রাখা হয়েছে।

ইরানি কর্মকর্তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েল এবং আমেরিকাকে বার্তা পাঠিয়েছেন যে, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে দেয় তাহলে ইরানও তাদের সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করতে প্রস্তুত।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে সূত্র জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র যখন ইরানের নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান-এর মতো কৌশলগত পারমাণবিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে, তখনই ইরানের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে শুরু করলে এখন ইরানের নরম মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।

পারমাণবিক আলোচনা শুরু করার কথা
এছাড়াও ইরান প্রস্তাবে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার কথা বলেছে, যা ২০১৮ সালে আমেরিকা পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উত্তেজনা কমানোর দিকে এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এর উপর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা স্পষ্ট নয়। বর্তমানে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অনেক উপসাগরীয় দেশ এর উপর নজর রাখছে এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।

আমরা জয়ের পথে – নেতানিয়াহু
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা স্পষ্ট যে ইরান এখন যুদ্ধবিরতির পক্ষে, তবে শর্তাধীন শান্তির এই প্রস্তাব কতটা কার্যকর হবে, তার জবাব আগামী দিনে সামনে আসতে পারে। কারণ কিছুদিন আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আমরা জয়ের পথে রয়েছি। ইসরায়েলি বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করার সময় তিনি বলেছিলেন, তেহরানের আকাশে আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

ইরান থেকে তুরস্কে পালাচ্ছে মানুষ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরান থেকে তুরস্কে পালানোর চেষ্টা করা মানুষের ভিডিও এবং ছবিতে ভরে গেছে, সীমান্ত এলাকা যানবাহনে পূর্ণ। শুক্রবার ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হামলার পর বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। জবাবে, ইরান শুক্রবার এবং শনিবার ইসরায়েলের উপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং শত শত আহত হয়।