এখন ক্রিকেটে বয়স চুরি করতে পারবে না খেলোয়াড়েরা, বিসিসিআই কঠোর নিয়ম কার্যকর করল

টিম ইন্ডিয়ায় বয়স জালিয়াতি (Age Fraud) নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে ৫ জন ভারতীয় ক্রিকেটারের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এই কড়াকড়ির পর তরুণ ক্রিকেটারদের সাথে কোনো অন্যায় হবে না।
এর সাথে সাথে তারা সহজে খেলার সুযোগও পাবে। এর আগে অনেক ক্রিকেটার তাদের বয়স কম দেখিয়ে জুনিয়র স্তরের টুর্নামেন্টে অংশ নিত। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়দের সাথে ভুল হতো। কিন্তু বিসিসিআই-এর এই বড় সিদ্ধান্তে বয়স জালিয়াতিতে সমস্যা তৈরি হবে। বিসিসিআই জুনিয়র স্তরে একটি অতিরিক্ত বোন টেস্ট করানো শুরু করেছে। এতে ক্রিকেটারদের সঠিক বয়স সম্পর্কে সহজে জানা যাবে।
বিসিসিআই-এর বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একজন খেলোয়াড়কে TW3 মেথডোলজি (হাড়ের বয়স অনুমান করার জন্য ব্যবহৃত পরীক্ষা) এর মাধ্যমে নির্ধারণের জন্য বোন টেস্ট করতে হয়। এর সাথে সাথে একই গ্রুপে পরের মরসুমের জন্য তার যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য একটি ফ্যাক্টর যোগ করা হয়। শুধু তাই নয়, পরে আরও একটি বোন টেস্ট হয়।
ক্রিকেটারদের বয়স পরীক্ষা কতবার হয়?
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আন্ডার-১৬ ক্রিকেটারদের পরের মরসুম থেকে দ্বিতীয়বারের মতো হাড় পরীক্ষা করাতে হবে, যারা +১ ফ্যাক্টরে ব্যর্থ হয়েছেন। এই পরীক্ষা একটি সঠিক বয়স সম্পর্কে জানার জন্য করা যেতে পারে। বর্তমানে আন্ডার-১৬ খেলোয়াড়দের জন্য হাড়ের বয়স সীমা ১৬.৫ বছর এবং আন্ডার-১৫ মেয়েদের জন্য ১৫ বছর সীমিত করা হয়েছে।
ক্রিকেটারদের সঠিক বয়স কীভাবে জানা যাবে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্ডার-১৬-তে অংশ নেওয়ার জন্য পরের মরসুম থেকে কোনো খেলোয়াড়ের হাড়ের বয়স ১৬.৪ বা তার কম হতে হবে। এছাড়াও মহিলাদের বয়স ১৪.৯ বা তার কম হতে হবে। এটি সঠিকভাবে স্পষ্ট করার জন্য, যদি ২০২৫-২৬ মরসুমে কোনো পুরুষ আন্ডার-১৬ খেলোয়াড়ের বোন টেস্টের ফলাফলে ১৫.৪ বছর দেখা যায়, তাহলে পরের মরসুমে তাদের পুনরায় পরীক্ষা করা হবে না। যদি কোনো খেলোয়াড়ের হাড়ের বয়স ১৫.৫ বা তার বেশি হয়, তাহলে এক বছর যোগ করলে এটি ১৬.৫ বা তার বেশি হয়ে যায়, যা ১৬.৪ এর যোগ্যতার সীমা অতিক্রম করে। তাকে আন্ডার-১৬ টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়।