পৈশাচিক স্বামীর পাশবিকতা, অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো ঢেলে গরম লোহা দিয়ে ছ্যাঁকা দিল

মুজাফফরপুরের দেওরিয়া থানা এলাকার মুজা পাকড়ি গ্রামে সম্পর্কের লজ্জা ফেলার মতো এক ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের ২০ বছর পর এক স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে बेवফাইয়ের অভিযোগ তুলে পাশবিকতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে।
শয়তান স্বামী তার স্ত্রীকে ঘরে বন্ধ করে প্রথমে তার সংবেদনশীল অঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো ঢেলে দেয় এবং তারপর গরম লোহা দিয়ে নির্মমভাবে পুড়িয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত স্বামী শত্রুঘ্ন রায়কে ধরে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে।
পাশবিকতার সীমা অতিক্রম
শুক্রবার রাতে মুজা পাকড়ির বাসিন্দা শত্রুঘ্ন রায় তার স্ত্রী ফুল কুমারী দেবীর উপর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রচণ্ড হাঙ্গামা করে। সে তার তিন সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং নিজেও ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে নেয়। এরপর সে তার স্ত্রীর হাত-পা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলে। তারপর এই পিশাচ স্বামী ফুল কুমারী দেবীকে নির্মমভাবে মারধর করে। কিন্তু তার পাশবিকতা এখানেই থামেনি। সে প্রথমে তার স্ত্রীর সংবেদনশীল অঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো ঢেলে দেয় এবং তারপর সেই অঙ্গ সহ শরীরের অন্যান্য অনেক অংশ গরম লোহা দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
উদ্ধার ও হাসপাতালে ভর্তি
এই জঘন্য ঘটনার পর আশপাশের লোকেরা কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করে মহিলাকে উদ্ধার করে এবং দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য মুজাফফরপুরের এসকেএমসিএইচ (শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল)-এ ভর্তি করে। গুরুতর আহত ফুল কুমারী দেবীর সেখানে চিকিৎসা চলছে।
ভাই জানালেন চমকপ্রদ কারণ
ভুক্তভোগী ফুল কুমারী দেবীর ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন যে তার বোনের বিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে শত্রুঘ্ন রায়ের সাথে হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল এবং তাদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, প্রসাধনীর দোকান চালানো তার ভগ্নিপতি শত্রুঘ্ন রায়ের অন্য এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ভাইয়ের অভিযোগ, শত্রুঘ্ন রায় তার বোন ফুল কুমারীকে হত্যা করে সেই অন্য মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল এবং এই উদ্দেশ্যেই সে এই জঘন্য অপরাধটি করেছে।
পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ
দেওরিয়া থানা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। এসডিপিও সরাইয়া কুমার চন্দন জানান যে আবেদন পাওয়ার সাথে সাথেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত স্বামী শত্রুঘ্ন রায়কে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে জেলে পাঠানো হয়েছে। আপাতত, এখন দেখতে হবে এই মামলায় ভুক্তভোগী মহিলা কতটা বিচার পান।