প্রেমিকার মৃতদেহে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে! পরিবারও অবাক; ছেলেটি বলল- আমি কথা দিয়েছিলাম…

শেষকৃত্যের সাথে বিয়ে: একটি মর্মান্তিক এবং আবেগঘন ঘটনা সামনে এসেছে যা মানুষকে স্তম্ভিত করেছে। এক যুবক তার বাগদত্তার মৃত্যুর পর তার মৃতদেহকেই বিয়ে করেছে। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার নিচলৌল এলাকার, যেখানে এক যুবক তার ভালোবাসাকে শেষ বিদায় জানানোর আগে তাকে বিয়ে করে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
এই বিয়ে কোনো উৎসবের মতো ছিল না, বরং গভীর প্রেম এবং ভগ্ন হৃদয়ের এক মর্মান্তিক কাহিনি হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, যুবক ও মেয়েটির মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি ছিল তার বাড়ির মালিকের কন্যা। তাদের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল, কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ ফাঁসিতে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যখন মেয়েটির মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তখন যুবক সেখানে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে বলল, “আমি ওকে কথা দিয়েছিলাম যে ওকে আমার স্ত্রী বানাব এবং আমি আমার কথা রাখব।”
এরপর যা ঘটল, তাতে সবাই হতবাক হয়ে গেল। বাড়িতে শোকের পরিবেশ ছিল, কিন্তু যুবকের অনুরোধে একজন পণ্ডিতকে ডাকা হলো। মৃত মেয়েটির সিঁথিতে সিঁদুর পরানো হলো, মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে যুবক তার সাথে বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি সম্পন্ন করল। প্রথাগত বিয়ের গানের বদলে সেখানে কেবল শোক ও কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। মেয়েটির পরিবার প্রথমে কিছু বলেনি, কিন্তু পরে যুবকের আবেগ বুঝতে পেরে বিয়ের অনুমতি দিল।
একজন গ্রামবাসী বলেন, “এই বিয়ে কোনো আনন্দের উপলক্ষ ছিল না, কেবল একটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়েছিল।” তিনি জানান যে, গ্রামে এমন দৃশ্য কেউ আগে কখনও দেখেননি। স্থানীয়দের মতে, মেয়েটি এবং যুবকের দেখা হয়েছিল যখন সে শহরে তার দোকান চালাত। প্রথমে পরিবার এই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিল না, কিন্তু পরে দুজনের প্রচেষ্টায় বিষয়টি ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এরই মধ্যে এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে যায়। নিচলৌল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অখিলেশ বর্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান যে, মেয়েটি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে এবং মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে।