ভাইরাস নয়, ছত্রাক মানব জীবন শেষ করে দেবে! সত্যি হবে কি সেই ভবিষ্যদ্বাণী? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ঘটনা সামনে এল
ছত্রাকের প্রবণতা নিয়ে বিজ্ঞানীরা আগেই সতর্কবার্তা জারি করেছেন। গবেষকদের মতে, ছত্রাকের কিছু প্রজাতি মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ এও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, ছত্রাক সমগ্র মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
এমন পরিস্থিতিতে এই খবর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আসলে, এই দিনগুলিতে আমেরিকায় একটি বিপজ্জনক ছত্রাক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাতটি রাজ্যে সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে এবং কর্তৃপক্ষ এটি মোকাবিলায় চেষ্টা করছে।
এই ছত্রাকটির নাম অ্যাসপারগিলাস ফিউমিগেটাস। ছত্রাকটি সারা আমেরিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া গরম হওয়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই ছত্রাক বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এটি থেকে বাঁচা প্রায় আসাম্ভব। এর কণাগুলি এত ছোট যে এটি শ্বাস নেওয়ার সাথে সাথেই মানবদেহে প্রবেশ করে এবং তারপর এটি মানব কোষকেও গলাতে পারে।
কী বিপদ?
সংস্পর্শে এলেই এটি অ্যাসপারগিলোসিস নামক ফুসফুসের সংক্রমণের কারণ হতে পারে। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের মধ্যে এটি অঙ্গ ব্যর্থতা এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ক্যান্সার, হাঁজল বা এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এর ঝুঁকি বেশি। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানীর মতে, এই ছত্রাক আগামী ৫০ বছরে অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। তিনি বলেছেন যে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আমেরিকায় উদ্বেগ বাড়ল
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, এই ছত্রাক আমেরিকার কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। ফ্লোরিডা, লুইসিয়ানা, টেক্সাস, জর্জিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো উষ্ণ রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ডেইলি মেলের মতে, নিউইয়র্ক, হিউস্টন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরগুলিও তাদের বৃহৎ জনসংখ্যার কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও ডাক্তারদের কাছে এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য উপলব্ধ নেই।
সতর্কতা অবলম্বনের আবেদন
ডাক্তাররা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাটি এবং ধুলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মানুষকে ধুলোবালিপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরতে এবং বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতেও অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং উন্নত ওষুধ, দ্রুত পরীক্ষা এবং ডাক্তার ও নার্সদের জন্য প্রশিক্ষণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।