গ্র্যাচুইটি কী? জানুন এর যোগ্য কে এবং কীভাবে এটি গণনা করা হয়

আপনি কি চাকরি করেন? আপনি যখন চাকরি করেন, তখন গ্র্যাচুইটি (Gratuity) সম্পর্কে আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে। যদি এই বিষয়ে আপনার কাছে তথ্য না থাকে, তাহলে জেনে নেওয়া উচিত। গ্র্যাচুইটি কেবল কর্মচারীর সেবার সম্মান নয়, বরং একটি আর্থিক সুরক্ষাও বটে।
এর নিয়ম এবং গণনা পদ্ধতি বোঝা প্রতিটি কর্মচারীর জন্য জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো বিভ্রান্তি বা ক্ষতি না হয়। আসুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
গ্র্যাচুইটি কাকে বলে?
গ্র্যাচুইটি হলো এক ধরনের সেবা-সমাপ্তি সুবিধা, যা কোনো কর্মচারীকে তার চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতে কো ম্পা নির পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়। এটি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের সেবার অবদানের জন্য দেওয়া এককালীন অর্থ। ভারতে গ্র্যাচুইটি প্রদানের ব্যবস্থা “গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট, ১৯৭২” এর অধীনে করা হয়।
গ্র্যাচুইটি কে পান?
গ্র্যাচুইটির সুবিধা সেই কর্মচারী পেতে পারেন, যিনি কোনো কো ম্পা নি বা প্রতিষ্ঠানে টানা ৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। এই সুবিধা সব ধরনের কর্মচারীরা (স্থায়ী, পূর্ণকালীন, চুক্তিভিত্তিক যদি কো ম্পা নি আইনের আওতায় আসে) পেতে পারেন। শর্ত হলো, তারা পাঁচ বছরের নিরবচ্ছিন্ন সেবা সম্পন্ন করেছেন। তবে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে যেমন মৃত্যু বা অক্ষমতা হলে পাঁচ বছরের সেবা বাধ্যতামূলক নয় এবং গ্র্যাচুইটি অবিলম্বে দিতে হয়।
গ্র্যাচুইটি কীভাবে গণনা করা হয়?
গ্র্যাচুইটি গণনা করার জন্য একটি মানক সূত্র রয়েছে।
গ্র্যাচুইটি = (শেষ মূল বেতন + মহার্ঘ ভাতা) × সেবার বছর × ১৫/২৬
১৫ দিন প্রতি বছরের হারে গণনা করা হয়।
২৬ দিন এক মাসের গড় কার্যদিবস ধরা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো কর্মচারীর শেষ মাসিক বেতন ৩০,০০০ টাকা হয় এবং তিনি ১০ বছর সেবা করেছেন, তাহলে গ্র্যাচুইটি = ৩০,০০০ টাকা × ১০ × ১৫/২৬ = প্রায় ১,৭৩,০৭৭ টাকা হবে। সেবার বছরকে পূর্ণ বছর হিসেবে ধরা হয়, আধা বছর বা তার বেশি হলে তাকে এক বছর ধরা হয়।
গ্র্যাচুইটিতে কি আয়কর দিতে হয়?
সরকারি কর্মচারীদের জন্য গ্র্যাচুইটি সম্পূর্ণ কর-মুক্ত। বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য আয়কর আইনের ধারা ১০(১০) এর অধীনে যা কম হয়, তা কর-মুক্ত থাকে:
২০ লক্ষ টাকা (সর্বোচ্চ সীমা)
প্রাপ্ত প্রকৃত গ্র্যাচুইটি পরিমাণ
আইন অনুযায়ী গণনা করা গ্র্যাচুইটি