ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরান-সংলগ্ন সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সীমান্তগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন পাকিস্তান ইরানের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

পাশাপাশি, দাবি করা হচ্ছিল যে ইরানের উপর কোনো আঘাত এলে তারা ইসরায়েলের উপর পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে। তবে, ইসলামাবাদ এই দাবিগুলি খণ্ডন করেছে।

ইরানের সীমান্ত সংলগ্ন বেলুচিস্তান প্রদেশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, “সমস্ত পাঁচটি জেলা, ছাগী, ওয়াশুক, পঞ্জগুর, কেচ এবং গোয়াদারে সীমান্ত সুবিধাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” ছাগী জেলার একজন কর্মকর্তা আতা-উল-মুনীম বলেছেন যে ইরানে প্রবেশ “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।” তিনি বলেছেন যে এই সময়ে ব্যবসা সংক্রান্ত কার্যকলাপের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

পাশাপাশি, ইরান থেকে নিজ দেশে ফিরে আসা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি সোমবার বলেছেন, “আমরা আজ ২০০ জন পাকিস্তানি ছাত্রের আসার আশা করছি।”

রবিবারই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছিলেন যে ইরান থেকে ৪৫০ জন পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়াটি ভবিষ্যতেও জারি থাকবে।

পাকিস্তান ইরানের সঙ্গ দিচ্ছিল
পাকিস্তান এর আগেই ইরানকে সমর্থন দিয়েছে। সম্প্রতি দুনিয়া নিউজের সাথে কথোপকথনে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছিলেন, “এই কঠিন সময়ে আমরা সব দিক থেকে ইরানের পাশে আছি। আমরা ইরানের স্বার্থ রক্ষা করব। ইরানিরা আমাদের ভাই এবং তাদের দুঃখ আমাদের দুঃখ।” তিনি বলেছিলেন যে ইসরায়েল শুধু ইরান নয়, বরং ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিনকেও লক্ষ্যবস্তু করছে।