অনলাইন বেটিং কেসে যুবরাজ, হরভজন এবং রায়নার জিজ্ঞাসাবাদ, সোনু সুদ এবং উর্বশী রাওতেলার ওপরও ইডি-র নজর

অনলাইন বেটিং কেসে যুবরাজ, হরভজন এবং রায়নার জিজ্ঞাসাবাদ, সোনু সুদ এবং উর্বশী রাওতেলার ওপরও ইডি-র নজর

অনলাইন বেটিং কেসে অনেক বড় বড় সেলিব্রিটির কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইডি সূত্র এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, হরভজন সিং এবং সুরেশ রায়না-কে ইডি প্রশ্ন করেছে।

এর পাশাপাশি বলিউড শিল্পী সোনু সুদ এবং উর্বশী রাওতেলা-কেও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইডি-র এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে জানা যায় যে প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির প্রচার কেন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ওয়ান বেট (One Bet), ফেয়ার প্লে (Fair Play) এবং মহাদেব অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম (Mahadev Online Betting Platform) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বিষয়েই প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বলিউড শিল্পীদের বিরুদ্ধে ইডি-র এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

গত ক’দিন আগেই বড় অনলাইন জুয়া চক্রের পর্দাফাঁস
গত ক’দিন আগেই কলকাতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে একটি বড় অনলাইন জুয়া এবং মানি লন্ডারিং চক্রের পর্দাফাঁস করেছে। এই চক্রের পর্দাফাঁস করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং আসামে ছড়িয়ে থাকা অনেক আস্তানায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। এই অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণে ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সন্দেহজনক নথি জব্দ করা হয়েছে।

এই অভিযানের সময় ইডি ৭৬৬টি মিউল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ১৭টি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ফ্রিজ করে দিয়েছে, যা এই বেআইনি জুয়া এবং জুয়া খেলা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছিল। ইডি বিশাল ভরদ্বাজ ওরফে বাদল ভরদ্বাজ এবং সোনু কুমার ঠাকুর নামের দুই অভিযুক্তকে পিএমএলএ (PMLA) এর অধীনে গ্রেপ্তারও করেছিল। দু’জনকেই কলকাতার বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল, সেখান থেকে তাদের ১০ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল।

মহাদেব অনলাইন জুয়া অ্যাপে ইডি-র নজর
এপ্রিল মাসেও মহাদেব অনলাইন জুয়া অ্যাপ কেসে (Mahadev online betting app case) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল। তখন ইডি এই মামলায় বিভিন্ন আস্তানায় তল্লাশির পর ৫৭৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ফ্রিজ করেছিল। এটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (Prevention of Money Laundering Act) এর অধীনে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দিল্লি, মুম্বাই, ইন্দোর, আহমেদাবাদ, চণ্ডীগড়, চেন্নাই এবং সম্বলপুর (ওড়িশা) এর অনেক আস্তানায় তল্লাশি চালিয়েছিল।

এই তল্লাশির সময় ইডি ৩.২৯ কোটি টাকা নগদ জব্দ করেছিল। একই সাথে ইডি ৫৭৩ কোটি টাকারও বেশি সিকিউরিটিজ, বন্ড এবং ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছিল। এছাড়াও বিপুল পরিমাণে আপত্তিকর নথি এবং ইলেকট্রনিক প্রমাণও উদ্ধার করা হয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *