গোপালগঞ্জ থেকে গুজরাট গিয়ে জামাইকে হত্যা, প্রেম বিবাহের ভয়ংকর পরিণতি, ব্যাপক হট্টগোল

মেয়ের বিয়েতে ক্ষুব্ধ বাবা তার আত্মীয়দের নিয়ে গুজরাটে পৌঁছে ছল করে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। হত্যার পর মৃতদেহ ছাদ থেকে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। সবজি নিয়ে যখন স্ত্রী ফিরলেন, তখন তার পায়ের তলার মাটি সরে গেল। ঘটনার খবর পেয়ে গুজরাট পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামে পাঠিয়ে দেয়।
২০২৪ সালে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন
নিহত যুবক ছিলেন কটেয়া থানার বনকাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিজয়মল গোণ্ডের পুত্র রাহুল গোঁড় (২১ বছর)। ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, রাহুল গোঁড়ের ভোরের থানা এলাকার কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা মুন্না যাদবের কন্যা অমিশা যাদবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তারা দুজনেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা গুজরাটের রাজকোট জেলার সাপড় থানা এলাকার রিপারিয়াতে এজেড কো ম্পা নিতে কাজ করছিলেন।
মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
ঘটনাটি যেভাবে ঘটল: ১৪ জুন অমিশা যাদবের বাবা মুন্না যাদব, বনকাটিয়ার ধর্মদেব যাদবের স্ত্রী মীনা দেবী এবং তার ছেলে অনজয় যাদব সেখানে পৌঁছান। তিনজনই বলেন যে, যখন বিয়ে হয়েই গেছে তখন আর আমাদের কী করার আছে, এখন থেকে আত্মীয় হয়ে থাকব। তিনজন রাতে সেখানেই থাকার কথা বলেন। এরপর অমিশা সবজি কিনতে চলে যান।
ফিরে এসে দেখেন যে, রাহুলকে মেরে তারা ছাদ থেকে ঝুলিয়ে রেখেছে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে এবং মৃতদেহ বাড়িতে পাঠায়। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছাতেই গ্রামীণরা, তার স্ত্রী অমিশা যাদবের বক্তব্য শোনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
তারা মৃতদেহ তার আত্মীয়ের দরজায় রেখে গ্রেপ্তারির দাবিতে অনড় থাকেন। অন্যদিকে, ঘটনার খবর পাওয়ার পর কটেয়া থানার আধিকারিক রজনীশ প্রকাশ পাণ্ডে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বচসাও হয়। পুলিশ ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর কোনোভাবে গ্রামবাসীদের বোঝাতে সক্ষম হয় এবং মঙ্গলবার দুপুর ১১.৩০টায় মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।