আমেরিকা পৌঁছেই পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনির দেখালেন আসল রূপ, বিষ উগরে বললেন – ‘ভারতকে ভেঙে…’

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং সম্প্রতি ফিল্ড মার্শাল হওয়া সৈয়দ আসিম মুনির বর্তমানে আমেরিকা সফরে রয়েছেন। সফরের সময় তিনি আমেরিকায় বসবাসকারী পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দেন।
তার ভাষণে মুনির বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন, কিন্তু এই মঞ্চটি তিনি ভারতের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করার জন্যও ব্যবহার করেন। তিনি মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া চার দিনের সংঘাতকে পাকিস্তানের জয় বলে দাবি করার চেষ্টা করেন।
দ্য ডন (The Dawn) পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, মুনির বলেছেন যে পাকিস্তান কখনোই ১৯৭১ সালের পরাজয় ভুলবে না এবং সময় এলে এর জবাব দেবে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের যেকোনো পদক্ষেপের জবাব দিতে সক্ষম। আসিম মুনির কাশ্মীর নিয়েও মন্তব্য করেছেন।
সৈয়দ আসিম মুনির তার বিবৃতিতে কী বলেছেন?
পাকিস্তানের একজন বরিষ্ঠ সাংবাদিক আজাৎ সৈয়দ একটি টক শোতে জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানি সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনির আমেরিকায় দেওয়া তার ভাষণে বলেছেন যে, তারা ভারতকে ভেঙে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নেবেন। ওয়াশিংটনে উপস্থিত পাকিস্তানি নাগরিক নোমান মুঘল-ও দাবি করেছেন যে, মুনির বলেছেন, “আমরা চীনের সাথে মিলে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি।”
সৈয়দ আসিম মুনির বলেছেন যে, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি স্তরে যুদ্ধ করেছে, যার মধ্যে সাইবার যুদ্ধও (Cyber Warfare) অন্তর্ভুক্ত। তিনি দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানি হ্যাকাররা ভারতের ৭০% গ্রিড স্টেশন হ্যাক করে বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে, পাকিস্তানি ড্রোন দিল্লি এবং গুজরাট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। মুনির আরও একটি দাবি করে বলেছেন যে, ভারতের ট্রেন ব্যবস্থাও হ্যাক করা হয়েছিল। যদিও, তিনি এই দাবিগুলির কোনো প্রমাণ দেননি এবং ভারতের পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
পাক সেনাপ্রধানের বড় দাবি
আসিম মুনির আমেরিকায় দেওয়া তার ভাষণে স্বীকার করেছেন যে, ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান চীন থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, পাকিস্তান এই অস্ত্র এমনভাবে ব্যবহার করেছে যে চীনও তাদের প্রস্তুতিতে প্রভাবিত হয়েছে।
এই সময়ে মুনির সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে আমেরিকাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের হামলার পর আমেরিকার সাহায্যে পাকিস্তানে ‘জেহাদী সংস্কৃতি’ (Jihadi Culture) গড়ে ওঠে এবং এটিই পরবর্তীতে অনেক সন্ত্রাসী সংগঠনের মূল হয়ে দাঁড়ায়।