এআই (AI)-এর ‘গডফাদার’ জেফরি এভারেস্ট হিন্টন (Geoffrey Everest Hinton) একটি চমকপ্রদ বিবৃতি দিয়েছেন। ব্রিটিশ-কানাডিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী বলেছেন যে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এআই অনেক মানুষের চাকরি কেড়ে নেবে। ‘ডায়রি অফ সিইও’ (Diary of CEO) পডকাস্টে জেফরি হিন্টন সতর্ক করে বলেছেন যে, এআই ভবিষ্যতে মানুষকে প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যত পেছনে ফেলে দেবে, যার কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।

পাশাপাশি, তিনি আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এআইকে মানবজাতির জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে, তিনি এও বলেছেন যে, কিছু মানুষের চাকরি ভবিষ্যতেও সুরক্ষিত থাকবে।

শুধুমাত্র এই কাজগুলো সুরক্ষিত থাকবে
পডকাস্ট চলাকালীন এআই সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই যে, ফিজিক্যাল ম্যানিপুলেশনে এখনও অনেক সময় লাগতে পারে, কিন্তু প্লাম্বার হওয়া একটি ভালো বিকল্প।” অর্থাৎ, এআই-এর গডফাদার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে প্লাম্বারের মতো গৃহস্থালীর কাজ যারা করেন, তাদের চাকরিই সুরক্ষিত থাকবে। এআই বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করা সমস্ত মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে এতটাই দক্ষ হতে হবে যে, আপনি যা করছেন, তা যেন এআই করতে না পারে।

হিন্টন পডকাস্টে এআই সম্পর্কে বলেছেন যে, মানুষের একটি সাধারণ ধারণা হলো এআই নতুন চাকরি তৈরি করে পুরনো চাকরিগুলো সরিয়ে দেবে। কিন্তু এমন কিছুই নয়, ভবিষ্যতে এআই মানুষের করা সমস্ত বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করবে। এটি বর্তমান বাজার-ভিত্তিক চাকরির জন্য বিপদের ঘণ্টা। একজন মানুষ এআই-এর সাহায্যে ১০ জনের কাজ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনে চাকরিতে কাটছাঁট সম্ভব।

২০২৫ সালের মে মাসে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম সিগনালফায়ার (SignalFire)-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, গুগল (Google), মেটা (Meta)-এর মতো বড় টেক কো ম্পা নিগুলো ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে গ্র্যাজুয়েট নিয়োগে ২৫% পর্যন্ত কাটছাঁট করেছে। ২০২৪ সালে টেক কো ম্পা নিগুলো শুধুমাত্র ৭% ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট নিয়োগ করেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এতে ১০% কাটছাঁট করা হয়েছে। এর কারণ হলো, অনেক এন্ট্রি-লেভেলের কাজ এখন এআই-এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।