এয়ার ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কো ম্পা নি কারণ জানালো

এয়ার ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোম্পানি কারণ জানালো

গুজরাটের আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়া আলোচনায় রয়েছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে গুজরাটে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন ক্র্যাশ এবং তারপর ক্রমাগত বিমানে ত্রুটি দেখা যাচ্ছে।

আহমেদাবাদের ঘটনার পরও বেশ কিছু ফ্লাইটে ত্রুটি ধরা পড়ে। এই কারণেই এয়ার ইন্ডিয়া এখন আন্তর্জাতিক পরিষেবা ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তের পেছনে নিরাপত্তা যাচাই, প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মতো বেশ কিছু কারণ জড়িত। সম্প্রতি আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনাকে এই সিদ্ধান্তের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

হ্রাসের আসল কারণ কী?
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য ওয়াইড-বডি (wide-body) বিমানের আন্তর্জাতিক পরিষেবা ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ২০ জুন থেকে কার্যকর হবে। ডিজি সিএ (DGCA) এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮/৯ বিমানের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তদন্তের কাজ প্রায় অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বোয়িং ৭৭৭ বিমানেরও তদন্ত করবে।

এয়ারলাইন বলেছে, “আমরা যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং আশ্বস্ত করছি যে, এই সিদ্ধান্ত যাত্রী ও কর্মীদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা শীঘ্রই স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনব। আমরা এআই ১৭১ (AI 171) ফ্লাইটে থাকা ২৪১ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যের মৃত্যুতে শোকাহত।”

যাত্রীরা পাবেন সম্পূর্ণ রিফান্ড
এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলেছে যে, যাদের ফ্লাইট এই হ্রাসের অন্তর্ভুক্ত এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হবেন, তাদের সম্পূর্ণ রিফান্ড দেওয়া হবে। এছাড়াও তাদের ভ্রমণের জন্য অন্যান্য বিকল্পও দেওয়া হবে।

বিমান দুর্ঘটনায় শত শত প্রাণহানি
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ১৭১ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় মোট ২৯৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিমানে থাকা মোট ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

এক সপ্তাহে ৮০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল
এয়ার ইন্ডিয়া ১২ জুনের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে। কখনও জরুরি অবতরণ তো কখনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কো ম্পা নিকে এর মূল্য দিতে হচ্ছে। এরই জেরে গত ১ সপ্তাহের মধ্যে কো ম্পা নিকে ৮০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। ক্রমাগত ঘটনার পর যাত্রীরা বোয়িং বিমান নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *