প্রকাশ্যে ‘সঞ্জয় বর্মা’র আসল পরিচয়! সোনমের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা ব্যক্তিটি কে?

প্রকাশ্যে ‘সঞ্জয় বর্মা’র আসল পরিচয়! সোনমের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা ব্যক্তিটি কে?

রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ ‘সঞ্জয় বর্মা’ নামের এক নতুন চরিত্রের সন্ধান পায়। সূত্র অনুযায়ী, সোনম ‘সঞ্জয় বর্মা’ নামের এই ব্যক্তির সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলত। মাত্র এক মাসে তাদের মধ্যে ২৩৪ বার কথোপকথন হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত স্পষ্ট ছিল না যে, এই ‘সঞ্জয় বর্মা’ আসলে কে। তবে, নিউজ ২৪-এর বিশ্বস্ত শিলং পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, সোনম রঘুবংশী যার সঙ্গে কথা বলত, সেই ‘সঞ্জয় বর্মা’ আর কেউ নন, তিনি হলেন রাজ কুশওয়াহা। সোনম তার পরিবারের সদস্যদের বিভ্রান্ত করার জন্য ফোনবুকে তার নামটি ‘সঞ্জয় বর্মা’ নামে সেভ করে রেখেছিল।

জানা গেছে, সোনম মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত দিনরাত রাজের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলত, যার নাম ট্রুকলারে ‘সঞ্জয় বর্মা’ দেখাচ্ছিল। সোনম নিজের ফোনে নম্বরটি “সোনম বিট্টু” নামে সেভ করে রেখেছিল, যা কেবল বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। রাজকে রক্ষা করতে এবং তাদের সম্পর্ক গোপন রাখতে সোনম এমনটি করেছিল। রাজ এবং সোনম মিলে এমন একটি পরিকল্পনা করেছিল যাতে কারো সন্দেহ না হয়। সিমকার্ডটি রাজ নিজেই কিনেছিল এবং ট্রুকলারে নামটি ‘সঞ্জয় বর্মা’ লিখেছিল। রাজা রঘুবংশীর হত্যার পর যখন পুলিশি তদন্ত শুরু হয়, তখন রাজকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। তদন্তে প্রকাশ পায় যে, রাজ হলো সোনমের প্রেমিক।

তারা দুজনেই বিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু সোনমের পরিবার এই সম্পর্কে রাজি ছিল না। এরপর দুজনে মিলে বেশ কয়েকবার ষড়যন্ত্র করে। শেষ পর্যন্ত যখন তারা সফল হয়নি এবং সোনমের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, তখন তারা দুজনে মিলে রাজাকেই হত্যা করার পরিকল্পনা করে। হানিমুনের অজুহাতে সোনম রঘুবংশী রাজাকে মেঘালয়ে নিয়ে যায়, যেখানে সে আগে থেকেই তিন হামলাকারীকে প্রস্তুত রেখেছিল। ছবি তোলার অজুহাতে সোনম রাজাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং তারপর হামলাকারীদের ইশারা করে রাজাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুরো দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *