যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরান থেকে ফিরলেন ১১০ ভারতীয় শিক্ষার্থী, ‘অপারেশন সিন্ধু’-র প্রথম দল দিল্লিতে

ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে একটি স্বস্তির খবর সামনে এসেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরান থেকে সরিয়ে আনা ১১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি বিশেষ বিমান বৃহস্পতিবার ভোরে দিল্লিতে পৌঁছেছে। এই শিক্ষার্থীদের প্রথমে ইরান থেকে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে তাদের ভারতে আনা হয়। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯০ জনই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা, যারা মূলত মেডিকেলের পড়াশোনা করছিলেন। বিমানবন্দরে শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা অধীর আগ্রহে তাদের সন্তানদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাজস্থানের কোটা থেকে আসা এক বাবা বলেছেন, “আমার ছেলে ইরানে এমবিবিএস পড়ছিল। সে এখন ভারত সরকার কর্তৃক পাঠানো বিশেষ বিমানে ফিরছে। আমি ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাই।”
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসা ছাত্ররা তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ছাত্র আমান আজহার এএনআইকে বলেন, “আমি খুব খুশি। আমার পরিবারের সাথে দেখা করে কেমন লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ইরানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেখানকার মানুষও আমাদের মতোই, ছোট ছোট শিশুরা কষ্টে আছে। যুদ্ধ কারো জন্য ভালো নয়। এটি মানবতাকে ধ্বংস করে দেয়।” ভারত সরকারের এই দ্রুত পদক্ষেপের জন্য পরিবারের সদস্যরা খোলা মনে প্রশংসা করেছেন, তবে যারা এখনও ইরানের যুদ্ধাঞ্চলে, বিশেষ করে তেহরানে আটকে আছেন, তাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
১৫ জুন, ভারতীয় দূতাবাস একটি অ্যাডভাইজারি জারি করে ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এড়াতে এবং সরকারি চ্যানেলের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে অনুরোধ করেছিল। ভারতের আপিলের জবাবে ইরান তাদের স্থলপথ দিয়ে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের আশ্বাস দিয়েছে, কারণ ইরানি আকাশসীমা বর্তমানে বন্ধ। শিক্ষার্থীদের আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর মাধ্যমে বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইরানে ৪,০০০ এরও বেশি ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিক্ষার্থী। ভারত সরকার ইরানি কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে সেখানে আটকে পড়া অন্যান্য নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।