ইরান কি নতি স্বীকার করল? হোয়াইট হাউসে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, ট্রাম্পের বড় দাবি!

ইরান কি নতি স্বীকার করল? হোয়াইট হাউসে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, ট্রাম্পের বড় দাবি!

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন চরমে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বড় মন্তব্য সামনে এসেছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, ইরান এখন আলোচনা করতে চায় এবং তারা আমেরিকার সাথে যোগাযোগ করেছে। ট্রাম্পের মতে, তেহরান হোয়াইট হাউসে আসারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে ট্রাম্প এও বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং এখন ইরান অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ইরান এখন আলোচনা করতে চায়। তারা যোগাযোগ করেছে এবং হোয়াইট হাউসে আসার প্রস্তাবও দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন যে, ইরানের আগেই সমঝোতা করে নেওয়া উচিত ছিল। ট্রাম্পের মতে, এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে এবং তেহরান চাপে আছে।

“ইরানের কোনো প্রতিরক্ষা অবশিষ্ট নেই” – ট্রাম্প
ট্রাম্প আরও বলেন যে, গত এক সপ্তাহে অনেক বড় পার্থক্য এসেছে। এখনকার পরিস্থিতি আর এক সপ্তাহ আগের পরিস্থিতির মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। ট্রাম্প দাবি করেন যে, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। যদিও একটি ইরানি প্রতিবেদনে ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। ট্রাম্পের মতে, তাদের কাছে এখন কোনো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অবশিষ্ট নেই। এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এমনকি खामেনেইয়ের বাঙ্কারের কাছেও ইসরায়েল বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।

সমঝোতার সূচনা নাকি যুদ্ধের কাছাকাছি?
ট্রাম্প এও বলেছেন যে, তিনি বলতে পারছেন না যে, তারা পরবর্তী হামলা কখন করবেন। এতে স্পষ্ট যে, আমেরিকা এখনও সামরিক পদক্ষেপের ভয় দেখিয়ে ইরানকে ভয়ে রাখছে এবং হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে আপাতত প্রকাশ্যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একই সাথে ট্রাম্প বলেছেন যে, আগামী সপ্তাহটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। হয়তো তার আগেও বড় কিছু ঘটতে পারে।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরবর্তী বড় মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি হয়তো কোনো সমঝোতার শুরু হতে পারে অথবা যুদ্ধের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।

এই পুরো ঘটনা প্রবাহ থেকে স্পষ্ট যে, ইসরায়েলের ক্রমাগত সামরিক পদক্ষেপ এবং পশ্চিমা চাপের কারণে ইরান এখন নিজেকে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে দেখছে। যদি আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়, তবে এটি পশ্চিম এশিয়ার জটিল রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন প্রমাণ হতে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের সতর্কবার্তাও ইঙ্গিত দেয় যে, যুদ্ধ এবং শান্তি, উভয় দরজা এখনও খোলা আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *