ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তান বিপর্যস্ত, ৪ জুলাই পর্যন্ত খুলবে না রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস

ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তান বিপর্যস্ত, ৪ জুলাই পর্যন্ত খুলবে না রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস

পাকিস্তান (Pakistan) তাদের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রহিম ইয়ার খান এয়ারবেসের (Rahim Yar Khan Airbase) জন্য নতুন নোটাম (NOTAM – Notice To Airmen) জারি করেছে, যা অনুযায়ী রানওয়েতে (Runway) মেরামতের কাজ চলছে এবং এটি ২০২৫ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত উড়ানের জন্য উপলব্ধ থাকবে না।

এই সেই এয়ারবেস যাকে ১০ মে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) “অপারেশন সিন্দুর” (Operation Sindoor) এর আওতায় লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

ভারতের পক্ষ থেকে এই পাল্টা হামলা কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগামে (Pahalgam) ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার (Terrorist Attack) পর করা হয়েছিল, যেখানে অনেক নিরাপত্তা কর্মী শহীদ হয়েছিলেন। এরপর ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের (Pakistan) ভেতরে নির্বাচিত সামরিক ঘাঁটিগুলোকে (Military Bases) লক্ষ্যবস্তু করে, যার মধ্যে রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস প্রধান ছিল।

নোটাম নম্বর A0417/25 অনুযায়ী, “রানওয়েতে মেরামতের কাজ চলছে এবং এটি বিমান পরিচালনার জন্য উপলব্ধ নয়।” প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল যে রানওয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে আবার চালু হয়ে যাবে।

এখনও খোলেনি রহিম ইয়ার খান এয়ারবেসের রানওয়ে
পাকিস্তান বায়ুসেনা ১১ মে দাবি করেছিল যে এয়ারবেসটি “৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হবে”, কিন্তু এখন এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পরিস্থিতি “কাজ চলছে” রয়ে গেছে।

রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস পাকিস্তান বায়ুসেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দক্ষিণ পাঞ্জাব (Southern Punjab) অঞ্চলে অবস্থিত এবং ভারত-পাক সীমান্তের অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি। এয়ারবেসের দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় কেবল বায়ুসেনার অভিযান পরিচালনার ক্ষমতাতেই প্রভাব পড়েনি, বরং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তানের মুখোশ খুলে গেছে
অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সামরিক বিশ্লেষকদের (Military Analysts) মধ্যে এই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেরামত ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক কটাক্ষ করে বলেছেন, “মনে হচ্ছে ‘জেনারেল’ যুদ্ধের প্রস্তুতির চেয়ে কুচকাওয়াজেই (Parade) বেশি ব্যস্ত।”

পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (Defense Ministry) এবং বায়ুসেনার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিস্তারিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি (Official Statement) আসেনি, নোটাম ছাড়া যা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, রহিম ইয়ার খানের মতো একটি প্রধান এয়ারবেস এত দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্রমের বাইরে থাকা পাকিস্তানের সামরিক ভারসাম্য (Military Balance) এবং নজরদারি ক্ষমতাকে (Surveillance Capabilities) প্রভাবিত করতে পারে এবং তার সামরিক উড়ানগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *