আমেরিকার কি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ডুমসডে প্লেন’ উড়তেই বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের আবহে আমেরিকায় তৎপরতা বাড়ছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, আমেরিকা রাতারাতি তাদের যুদ্ধবিমান ইউরোপের বিমানঘাঁটিতে পাঠিয়েছে। আর এখন বলা হচ্ছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ডুমসডে প্লেন’-ও আকাশে উড়তে দেখা গেছে।
ডুমসডে প্লেনটির উড়ান দেখে এই জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে যে, আমেরিকা ইরানের উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হাইটেক ডুমসডে প্লেন E-4B নাইটওয়াচ (E-4B Nightwatch) লুইজিয়ানার বার্কসডেল এয়ারফোর্স বেস (Barksdale Airforce Base) থেকে উড়ান ভরেছিল। প্রায় চার ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর ম্যারিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে (Joint Base Andrews) অবতরণ করে। এই উড়ানে কলসাইন ‘ORDER01’ ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই কলসাইনটি এর আগে কখনও ব্যবহৃত হয়নি।
ডুমসডে প্লেন কী যা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে?
ডুমসডে প্লেন একটি চলমান কমান্ড সেন্টার। E-4B নাইটওয়াচকেই ডুমসডে প্লেন বলা হয়। এটি পারমাণবিক হামলা পর্যন্ত সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। এই প্লেনে তিনটি ডেক (Deck) থাকে। এই তিনটি ডেকে ব্রিফিং রুম, স্ট্র্যাটেজিক কনফারেন্স রুম এবং কমিউনিকেশন জোন অন্তর্ভুক্ত। এর পাশাপাশি, এতে বিশ্রামের জন্য ১৮টি বাঙ্কও (bunk) থাকে। শুধু তাই নয়, এর বিশেষত্ব হলো এটি মাটিতে অবতরণ না করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত আকাশে কাজ করতে পারে এবং এটি বাতাসেও জ্বালানি ভরে নিতে পারে।
সংকটের সময় আকাশে দেখা যায় ডুমসডে প্লেন
এই বিমানটি রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষা সচিব এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বকে যেকোনো সংকটের সময় উদ্ধার করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। আমেরিকায় যখন ৯/১১-এর হামলা হয়েছিল, সেই সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকেও একই ধরনের প্লেনে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। যখনই আমেরিকা কোনো বড় সংকটে পড়ে, তখনই এই প্লেন আকাশে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে এই বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে যে, আমেরিকা কি ইরানের উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে?
রাতারাতি ইউরোপীয় বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ফাইটার বিমান পাঠানো হয়েছে
ওপেন সোর্স তথ্য পর্যালোচনা করা অরোরা ইন্টেল গ্রুপ (Aurora Intel Group) জানিয়েছে যে, আমেরিকা রাতারাতি স্কটল্যান্ডের প্রেস্টউইক (Prestwick) এবং ইতালির আভিয়ানোতে (Aviano) ইউরোপীয় ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর জ্বালানি ভরার ট্যাঙ্কার এবং C17 বিমান পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, এটি এমন সময়ে ঘটেছে যখন আমেরিকা ইসরায়েলকে ইরানি হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য এবং তার আশেপাশে সামরিক বিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে, অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে সংঘাত থেকে সরে আসার সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
সৌদি আরবেও মার্কিন ফাইটার প্লেন পাঠানো হয়েছে
অরোরা ইন্টেল গ্রুপ আরও জানিয়েছে যে, মঙ্গলবার আমেরিকা ইতালীয় ঘাঁটি থেকে এক ডজন F-16 সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান এয়ার বেসে (Prince Sultan Air Base) পাঠিয়েছে। আমেরিকার কার্যকলাপ যেভাবে দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যে, বড় কিছু ঘটতে চলেছে।