ইসরায়েল (Israel) এবং ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে রাশিয়া (Russia) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) বড় বিবৃতি দিয়েছে। রাশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) বুধবার (১৮ জুন, ২০২৫) ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ করার এবং তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির (Nuclear Program) সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা (Diplomatic Efforts) জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।

ক্রেমলিনের (Kremlin) মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের (Mohammad Bin Zayed Al Nahyan) সঙ্গে টেলিফোনে (Telephone) কথা বলার সময় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেছেন।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার পর ক্রেমলিন একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি (Official Statement) জারি করেছে। বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, “ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়গুলির সমাধানের জন্য উভয় দেশের মধ্যে চলমান সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ করা এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রয়োজন।” এছাড়াও ক্রেমলিনের মতে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে রাশিয়া ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতা (Mediation) করতে প্রস্তুত।

ষষ্ঠ দিনেও ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হামলা অব্যাহত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দিনেও একে অপরের উপর হামলা অব্যাহত থাকায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Russian Foreign Ministry) বলেছে যে, পশ্চিম এশিয়ায় (West Asia) পরমাণু হুমকি (Nuclear Threat) “এখন কাল্পনিক নয় বরং বাস্তব।”

ইসরায়েল দুটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে- নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) বলেছেন যে তার দেশ দুটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিরাম এগিয়ে চলেছে। এর প্রথমটি হল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা (Ambition to acquire nuclear weapons) শেষ করা এবং দ্বিতীয়টি হল তার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন (Missile Production) এবং হামলা চালানোর ক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করা (Neutralize attack capabilities)।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি জারি
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা (Maria Zakharova) একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এই সবকিছু শুধু উত্তেজনা বাড়ায় না, বরং অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করে কারণ হামলা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক (Peaceful Nuclear) বা পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে (Nuclear Facilities) করা হচ্ছে।”