ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয়ের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হবে, সরকার নিয়েছে বড় সিদ্ধান্ত

‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) অস্ত্র ও গোলাবারুদ (Ammunition) ক্রয়ের জন্য প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া (Defence Acquisition Procedure – DAP) ২০২০-এর একটি ব্যাপক পর্যালোচনা শুরু করেছে।
পর্যালোচনার উদ্দেশ্য হলো কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমান নীতি ও উদ্যোগগুলোকে একত্রিত করা, কারণ সরকার ২০২৫ সালকে ‘সংস্কারের বছর’ (Year of Reforms) হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মহাপরিচালক (অধিগ্রহণ) এর সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অস্ত্র ক্রয়ে বিলম্ব এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সমস্যা সমাধানে সহায়তা
দেশের অস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম DAP-এর অধীনেই ক্রয় বা আমদানি করা যেতে পারে। কিন্তু সময়ে সময়ে DAP-এর পর্যালোচনা করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীগুলির (Armed Forces) অভিযোগ ছিল যে, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয়ের জন্য দেশে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাতে উন্নতির কঠোর প্রয়োজন রয়েছে।
প্রাক্তন অধিগ্রহণ মহাপরিচালক অপূর্ব চন্দ্র কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন
অধিগ্রহণ মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিনিয়র কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা শিল্প (Defence Industry) এবং শিক্ষা জগতের প্রতিনিধিরা (Academics) অন্তর্ভুক্ত আছেন। মন্ত্রক ১৯৮০ ব্যাচের প্রাক্তন আইএএস (IAS) কর্মকর্তা অপূর্ব চন্দ্রকে (Apurva Chandra) কমিটির প্রধান উপদেষ্টা (Principal Advisor) হিসেবেও নিযুক্ত করেছে। অপূর্ব চন্দ্র পূর্বে মহাপরিচালক (অধিগ্রহণ) পদে কাজ করেছেন। প্যানেল ইতিমধ্যেই পরামর্শ শুরু করেছে এবং ২০২৫ সালের ৫ জুলাই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষদের (Stakeholders) কাছ থেকে পরামর্শ আহ্বান করেছে।
DAP পর্যালোচনার উদ্দেশ্য কী?
জাতীয় নিরাপত্তা (National Security) নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর কর্মক্ষমতা এবং আধুনিকীকরণের (Modernization) চাহিদা সময়মতো পূরণ করা।
অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াগুলোকে সরকারের নীতি ও উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
স্বদেশীভাবে ডিজাইন (Indigenous Design) এবং উন্নত সিস্টেমের (Developed Systems) মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে আত্মনির্ভরশীলতা (Self-reliance) আনা।
বেসরকারি খাতের জন্য যৌথ উদ্যোগ (Joint Ventures) এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের (Technology Transfer) সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশে প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে (Defence Manufacturing) উৎসাহিত করে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) সক্ষম করা, এফডিআই (FDI) এর মাধ্যমে বিদেশী ওইএম (OEM) গুলিকে উৎসাহিত করা এবং ভারতকে একটি বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও এমআরও (MRO) কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ডিজাইন ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, স্বদেশী প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির জন্য স্টার্টআপ (Startups), উদ্ভাবক (Innovators) এবং বেসরকারি প্রতিরক্ষা শিল্পের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা।
সংশ্লিষ্ট পক্ষদের কাছ থেকে আমন্ত্রিত পরামর্শগুলি নিম্নরূপ:
অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে সুসংহত করার জন্য নীতি/প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন, এতে শ্রেণীকরণ, ব্যবসা করার সহজতা, পরীক্ষার পরিচালনা, চুক্তি পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, ফাস্ট ট্র্যাক প্রক্রিয়া এবং এআই (AI) এর মতো নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত।
DAP-এর অস্পষ্টতা এবং অসঙ্গতি দূর করতে এবং প্রক্রিয়াগত স্পষ্টতা বাড়ানোর জন্য ভাষার উন্নতি।