ইসলামেরও হলো না পাকিস্তান, ইরানকে আক্রমণের জন্য মুনির ট্রাম্পের সঙ্গে গোপন চুক্তি করলেন!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের (Field Marshal Asim Munir) মধ্যে হোয়াইট হাউসে (White House) একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা নির্ধারিত সময়ের দ্বিগুণ অর্থাৎ দুই ঘণ্টা ধরে চলে। এই বৈঠকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, আমেরিকা-পাকিস্তান বাণিজ্য সহযোগিতা, এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বেশ কয়েকটি কৌশলগত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকে মুনির এবং ট্রাম্পের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, যেখানে পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র ইরানকে আক্রমণ করার জন্য আমেরিকাকে পাকিস্তানি বিমানঘাঁটি (Pakistani airbases) এবং আকাশসীমা (airspace) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ইসলামের কথা বলা পাকিস্তান একটি অন্য মুসলিম রাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, ট্রাম্প এবং মুনিরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রেসের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, “পাকিস্তান ইরানকে খুব ভালোভাবে চেনে। সেখানে যা ঘটছে, তাতে পাকিস্তান খুশি নয়।” তিনি আরও বলেছেন যে, পাকিস্তানি নেতৃত্ব ইরান এবং ইসরায়েল উভয় সম্পর্কেই অবগত, তবে ইরানের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বেশি গভীর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেছেন যে, তিনি ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কারণ তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ (nuclear war) আটকাতে সাহায্য করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, “দুজন খুব বিচক্ষণ ব্যক্তি (মোদী এবং মুনির) সেই যুদ্ধকে বাড়তে দেননি, যা একটি পারমাণবিক যুদ্ধ হতে পারত।” তিনি উভয় দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।
ভারতের পক্ষ থেকে অনুমান করা হয়েছে যে, আমেরিকা পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছে কারণ ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের জন্য আমেরিকার পাকিস্তানের আকাশসীমা এবং অবকাঠামোর (infrastructure) প্রয়োজন হতে পারে। এই কারণেই মনে করা হচ্ছে যে, ট্রাম্প এবং মুনিরের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিকে এত কৌশলগত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠকটি প্রচলিত কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে হয়নি, বরং কিছু প্রভাবশালী উপদেষ্টা, ব্যবসায়ী এবং রিপাবলিকান লবিগুলোর (Republican lobbies) প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। এও বলা হচ্ছে যে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর (ISI) প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকও (Lieutenant General Asim Malik) মুনিরের সাথে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency), জ্বালানি, খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এবং উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত স্বার্থের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন। বৈঠকের শেষে ফিল্ড মার্শাল মুনির ট্রাম্পকে পাকিস্তান সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।