ইরানি হামলায় ইজরায়েলে (Israel) আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানকার মানুষ ভয়ে বাঙ্কারে লুকিয়ে আছে। ইরান যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তাতে ইজরায়েলি নাগরিকরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ইরানের হামলার পর ইজরায়েলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

উত্তর ইজরায়েলে (Northern Israel) বিমান হামলার সাইরেনের (Air Raid Siren) শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রতিটি কোণায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এতে স্পষ্ট যে, ইরান পিছু হটবে না। ইজরায়েল তেহরানের (Tehran) উপর রাতভর একটি বড় বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান (Fighter Jets) ব্যবহার করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) এবং সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে (Centrifuge Production Sites) লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (Israel Defense Forces – IDF) জানিয়েছে যে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির (Nuclear Weapon Program) অগ্রগতি বিলম্বিত করা।

এবার ইরান ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে, ১০-১২ দিনের মধ্যে ইজরায়েলের অস্ত্র শেষ হয়ে যাবে
IAEA (International Atomic Energy Agency) তেহরান এবং কারাজ (Karaj) এর প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলির ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইরান ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র (Fattah Missiles) সহ সীমিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, ইজরায়েল জানিয়েছে যে, পূর্ববর্তী ইরানি হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। চলমান বিমান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার এবং দেশের ঘোষিত জরুরি অবস্থার (State of Emergency) মধ্যে আটকে পড়া ইজরায়েলি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ইজরায়েলি জরুরি পরিষেবাগুলি জানাল, ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় কমপক্ষে ৬৫ জন আহত
ইজরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলি জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় কমপক্ষে ৬৫ জন আহত হয়েছেন। ইজরায়েলের জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (Magen David Adom – MDA) বৃহস্পতিবারের একটি আপডেটে জানিয়েছে যে, তিনজনের অবস্থা গুরুতর, যার মধ্যে একজন ৮০ বছর বয়সী পুরুষ এবং প্রায় ৭০ বছর বয়সী দুজন মহিলা রয়েছেন। দুজনের অবস্থাও “মাঝারি” এবং ৪২ জন ছররা ও বিস্ফোরণের কারণে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তারা আরও জানায় যে, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন, তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। এমডিএ-এর দলগুলো বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে এবং আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে।