ইরানও নিল বদলা, ইজরায়েলের বিজ্ঞান কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে গোপন আঘাত

ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং এবার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। গত ১৩ জুন সকালে যখন ইজরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন তারা দেশটির শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীদেরও লক্ষ্যবস্তু করে, যা ইরানের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। কিন্তু মাত্র চার দিন পর একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে, ইরানও এর বদলা নিয়েছে, এবং আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্ব তা টেরই পায়নি।
জানা গেছে, গত রবিবার সকালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের কেন্দ্রে আঘাত হানে, ঠিক সেখানেই যেখানে দেশটির বৈজ্ঞানিক ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। হামলার লক্ষ্য ছিল উইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (Weizmann Institute of Science) – যা ইজরায়েলের বৈজ্ঞানিক সুনাম এবং প্রযুক্তিগত পরিচয়ের প্রতীক। এই ইনস্টিটিউট থেকেই ইজরায়েলের প্রথম কম্পিউটার তৈরি হয়েছিল এবং আধুনিক গবেষণার সূচনা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তাই ইরানের এই হামলা কেবল একটি সামরিক আঘাত ছিল না, বরং এটি ছিল একটি গভীর প্রতীকী আঘাত। এর মাধ্যমে ইরান এই বার্তা দিয়েছে যে, যদি তারা তাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করে, তবে ইরানও তাদের জ্ঞানের দুর্গ ধ্বংস করে দেবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুটি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটিতে বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ল্যাব ছিল, এবং অন্যটি নির্মাণাধীন ছিল। আশেপাশের প্রায় এক ডজন ভবনও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানালাগুলো ভেঙে গেছে, দেয়াল ঝলসে গেছে এবং হাই-টেক গবেষণার সরঞ্জামগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যদিও এই হামলায় কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তাদের বছরের পর বছর ধরে করা গবেষণা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছে। অনেক ল্যাবকে পুনরায় তৈরি করতে এখন কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। উইজম্যান ইনস্টিটিউটের ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, যা হয়তো এটি লক্ষ্যবস্তু হওয়ার একটি কারণ। এই ধরণের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে নতুন নয়, কারণ গত কয়েক বছরে অনেক ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন, যার পেছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়।