‘ইরানের পতন চাই না, আমাদের লক্ষ্য শুধু…’, নেতানিয়াহুর বড় ঘোষণা

ইরান-ইজরায়েল সংঘাত (Iran-Israel Conflict): ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ইরানের (Iran) শাসনব্যবস্থার পতন ঘটানো তাদের লক্ষ্য নয়। তিনি বলেন, ইরানে ক্ষমতা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ইরানি জনগণের অধিকার, ইজরায়েলের (Israel) নয়।
তার মতে, ক্ষমতা পরিবর্তনের বিষয়টি প্রথমত এবং সর্বাগ্রে ইরানি জনগণের সাথে সম্পর্কিত। এর অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমাদের উদ্দেশ্য কেবল ইরানি শাসনব্যবস্থার উপর হামলা করা, তাদের জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা নয়। এভাবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ইজরায়েলের উদ্দেশ্য হলো ইরানি জনগণের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে শাসনব্যবস্থা এবং জনগণের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখা।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ (Israel Katz) অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেছেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে (Ayatollah Ali Khamenei) আর অস্তিত্বে থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি খামেনিকে সরাসরি তেল আভিভের (Tel Aviv) কাছে হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার (Missile Attack) জন্য দায়ী করেছেন এবং এটিকে যুদ্ধাপরাধ (War Crime) বলে অভিহিত করেছেন। একই সাথে তিনি এও জানিয়েছেন যে, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (Israeli Defense Forces – IDF) কে ইরানের কৌশলগত এবং সরকারি ঘাঁটিতে হামলা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাব
ইজরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার (Gideon Saar) তার বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন যে, বর্তমানে ইরানে শাসন পরিবর্তন ইজরায়েল সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন যে, আপাতত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা (Security Cabinet) এই দিকে কোনো সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণ করেনি। এর আগে ইজরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক ঘাঁটিতে (Nuclear Sites) হামলা চালিয়ে তাদের অনেক সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছিল। এই হামলায় ইরান ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে, যার পর এই সংঘাত অনেক বেড়ে যায় এবং একটি বিপজ্জনক মোড়ে পৌঁছেছে। এই কারণে মধ্যপ্রাচ্যে (Middle East) উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।