এবার ‘শত্রু দেশ’ নির্মূল হবে! ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ থেকে বালুচিস্তানে বিদ্রোহের বড় আশঙ্কা, ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চাইছে পাকিস্তান

এবার ‘শত্রু দেশ’ নির্মূল হবে! ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ থেকে বালুচিস্তানে বিদ্রোহের বড় আশঙ্কা, ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চাইছে পাকিস্তান

ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে বাড়তে থাকা সংঘাত পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান আশঙ্কা করছে যে, এই যুদ্ধে যদি ইরানের ক্ষমতা দুর্বল হয় বা শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তাহলে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব তার নিজের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি, বিশেষ করে বালুচিস্তানের উপর পড়তে পারে।

সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসিম মুনির (General Syed Asim Munir) আমেরিকা সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সামনে এই বিপদ স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

হোয়াইট হাউসে বৈঠক হয়েছিল
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বৈঠক ওয়াশিংটন ডিসি-এর হোয়াইট হাউসে (White House) হয়েছিল, যেখানে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো কোনো পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে (Army Chief) রাজনৈতিক পদে না থেকেও দুপুরের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দুই ঘণ্টার এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) এবং সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির (Baloch Separatist Organizations) দ্বারা সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান সংকট।

জেনারেল মুনির বলেন যে, ইরান (Iran) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে ইতিমধ্যেই জিহাদি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি সক্রিয় রয়েছে। এখন যখন ইরানের উপর ইজরায়েলের (Israel) চাপ বাড়ছে, তখন এই দলগুলিকে এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।

‘একটি বড় সুযোগ’…
জইশ-আল-আদল (Jaish-al-Adl) নামের একটি বালুচ চরমপন্থী সংগঠন, যা পাকিস্তানের বালুচিস্তান (Balochistan) থেকেও পরিচালিত হয়, একটি বিবৃতি দিয়েছিল যে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ তাদের জন্য ‘একটি বড় সুযোগ’। ১৩ই জুনের বিবৃতিতে তারা ইরানের সকল মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিল এবং বালুচ সম্প্রদায়কে সংঘাতে জড়িত হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।

পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়ল
পাকিস্তান এই বিষয়ে চিন্তিত যে, যদি ইরানের সরকার দুর্বল হয়, তাহলে বালুচিস্তানে ইতিমধ্যে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি নতুন শক্তি পেতে পারে। পাকিস্তানি কূটনীতিক মালিহা লোদি (Maliha Lodhi) এই বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, “যদি শাসন ব্যবস্থা দুর্বল হয়, তাহলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে ফুলেফেঁপে ওঠার সুযোগ মিলবে।”

এই পুরো পরিস্থিতি পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে উচ্চ সতর্কতায় (High Alert) এনে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় যে, পাকিস্তান এই বাড়তে থাকা বিপদের মোকাবিলা করতে পারে নাকি বালুচিস্তানে আরও একটি বিদ্রোহ জন্ম নেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *