স্বামীকে তাড়া করছিল মৃত্যুর ভয়, ভালোবাসার টানে স্ত্রীর প্রেমিককে বিয়ে করালেন, তারপর দায়ের হলো এফআইআর

উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে এক চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। এখানকার করন্দা থানা এলাকায় এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর বিয়ে তার প্রেমিকের সাথে করিয়ে দিয়েছেন। তার সন্দেহ ছিল যে, স্ত্রী হয়তো প্রেমিকের সাথে মিলে তাকে মেরে ফেলতে পারে।
কিন্তু বিয়ে হওয়ার পরেই স্ত্রী তার স্বামী, শ্বশুর সহ পরিবারের ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পুরো এলাকায় এটি নিয়ে আলোচনা চলছে, আর পুলিশও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনা ও সম্পর্কের সূত্রপাত
তথ্য অনুযায়ী, থানা এলাকার জামুয়া গ্রামের রোহিত (কাল্পনিক নাম)-এর বিয়ে ২০২৩ সালে পূজা (কাল্পনিক নাম)-এর সাথে হয়েছিল। বিয়ের পর রোহিত তার স্ত্রীর সাথে কাজ করার জন্য নয়ডাতে চলে গিয়েছিল। সেখানে তার বন্ধু পিন্টু গোড়, যে পাশের গ্রামের বাসিন্দা ছিল, সেও একই কো ম্পা নিতে কাজ করত। পিন্টু রোহিতের বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই রোহিতের স্ত্রী পূজা এবং পিন্টুর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। শুধু তাই নয়, রোহিতের মতে সে বহুবার দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছিল, কিন্তু দুজনই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল, যার কারণে সে চুপ ছিল।
গ্রামে ফাঁস হলো রহস্য, মন্দিরে হলো বিয়ে
সম্প্রতি কয়েকদিন আগে রোহিত স্ত্রীর সাথে গ্রামে ফিরে আসে এবং পিন্টুও গ্রামে চলে আসে। বুধবার সন্ধ্যায় পূজা রোহিতকে ওষুধ আনতে পাঠায় এবং এই সময় পিন্টুকে ডেকে পাশের খেতে চলে যায়। গ্রামবাসী দুজনকে দেখে ফেলে এবং পরিবারকে খবর দেয়। পরিবার এবং গ্রামবাসীরা খেতে গিয়ে দুজনকে হাতেনাতে ধরে এবং পাশের কালী মন্দিরে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পূজা বারবার পিন্টুর সাথে থাকার জেদ করতে থাকে, এবং পিন্টুও তাকে বিয়ে করতে অটল থাকে। রোহিত জানায় যে, দুজনই এর আগেও তার গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিল। এরপর রোহিত এবং পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্দিরে হিন্দু রীতি-নীতি অনুযায়ী তাদের দুজনের বিয়ে করিয়ে দেন, যেখানে সিঁদুর দানও হয়।
স্ত্রীর মামলা দায়ের
গোলমালের খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশও পৌঁছে যায়। অন্যদিকে, বিয়ের পর পূজা এবং পিন্টু পুলিশের সাথে চলে যায়, কিন্তু পূজা তার প্রাক্তন স্বামী রোহিত, শাশুড়ি, শ্বশুর, ননদ, দেওর সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করন্দা থানায় অপহরণ এবং শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় করন্দা থানার প্রধান জানান যে, বিয়ের কোনো ঘটনা নেই, কারণ প্রথম বিয়ের তালাক না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় বিয়ে সম্ভব নয়। पीड़िताের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।