ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের (Israel-Iran War) উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। শুক্রবার ইরান দক্ষিণ ইজরায়েলের একটি টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত মাইক্রোসফট অফিস (Microsoft Office) এবং অন্যান্য সামরিক পরিকাঠামোসহ (Military Infrastructure) বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি হামলা চালায়। এই হামলায় কমপক্ষে সাতজন ইজরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন।

মাইক্রোসফট বিল্ডিংয়ে হামলা
ইরানের মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি ছিল গাভ-ইয়াম নেগেভ অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস পার্ক (Gav-Yam Negev Advanced Technologies Park), যেখানে ইজরায়েলের সক্রিয় সামরিক ও সাইবার সুবিধা রয়েছে বলে জানা গেছে। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম অনুসারে, ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় এক থেকে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, যার মধ্যে একটিকে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আটকাতে ব্যর্থ হয় এবং সেটি বীরশেবাতে (Beersheba) পতিত হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (Wall Street Journal) সংবাদপত্র অনুযায়ী, ইজরায়েল এখন মাত্র ৬৫% ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সক্ষম হচ্ছে।

ইরান সবকিছু ধোঁয়া ধোঁয়া করে দিল
সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলিতে একটি আবাসিক ভবনের পার্কিংয়ে (Parking) দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির মধ্যে একটি ছোট গর্ত দেখা যাচ্ছে, যেখানে আগুন লেগে আছে। ইরানের হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এলাকায় বড় ধরনের আগুন লেগেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুন একটি মাইক্রোসফট অফিসেও পৌঁছে গিয়েছিল। ইজরায়েল রেলওয়ে (Israel Railways) হামলার কারণে বীরশেবা উত্তর-বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনকে (Beersheba North-University Station) সাময়িকভাবে বন্ধ করার ঘোষণা করেছিল। তবে, তেল আবিব (Tel Aviv) থেকে বীরশেবা-দিমোনা (Beersheba-Dimona) পর্যন্ত ইন্টারসিটি লাইনের অংশ এই স্টেশনটি এখন আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।

হামলায় ইরান কী বলল?
ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড (Revolutionary Guard) জানিয়েছে যে, মাইক্রোসফট অফিসে হামলা করা হয়েছিল কারণ এটি “ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এবং আগ্রাসনকে সমর্থনকারী ব্যবস্থার অংশ ছিল, নিছক একটি নাগরিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নয়।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “যে সাইবার ক্ষেত্রটিতে হামলা করা হয়েছে, তাতে গোয়েন্দাগিরি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) ক্ষেত্রের মানুষের বাসস্থানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা শত্রু সেনাবাহিনী এবং তার নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে সরাসরি সহযোগিতা করে।” ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে যে, সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল টেকনোলজি পার্ক।