সুপ্রিম কোর্ট সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে একটি বড় রায় দিয়েছে। আদালত বলেছেন যে, কোনো কর্মকর্তাকে উচ্চ আদালত দ্বারা নির্দোষ প্রমাণিত না করা পর্যন্ত তাকে চাকরিতে থাকতে দেওয়া যাবে না।

যখন কোনো সরকারি কর্মচারী দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, তখন তাকে চাকরিতে থাকতে দেওয়া কেবল জনব্যবস্থার জন্যই হুমকি নয়, বরং এটি অন্যান্য সৎ কর্মকর্তাদের মনোবলও ভেঙে দেয়।

দোষী সাব্যস্ত কর্মকর্তার চাকরিতে থাকার অধিকার নেই
আদালত রেলওয়ের একজন পরিদর্শকের আবেদনের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন, যিনি দুর্নীতির একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন। তিনি সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন, যাতে তার চাকরি রক্ষা পায়। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ‘কে.সি. সারিন বনাম কেন্দ্রীয় সরকার’ মামলার উল্লেখ করে বলেছে যে, কেবল এই ভিত্তিতে যে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন, দোষী সাব্যস্ত কর্মকর্তা চাকরিতে থাকার অধিকার পেতে পারেন না।

জনপদে থাকতে দেওয়া জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আদালত বলেছেন যে, এই ধরনের সরকারি কর্মচারীদের জনপদে থাকতে দেওয়া জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উল্লেখ্য যে, আবেদনকারী রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর (RPF) একজন পরিদর্শক, যাকে ঘুষের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। গুজরাট হাইকোর্ট তার সাজা স্থগিত করে জামিন দিলেও, দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে স্থগিত করতে অস্বীকার করে। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।

এটি সৎ কর্মকর্তাদের অপমান
সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদন খারিজ করে বলেছে যে, যদি দোষী কর্মকর্তাকে চাকরিতে থাকতে দেওয়া হয়, তাহলে সিস্টেমের ভিত্তি দুর্বল হবে এবং এটি সৎ কর্মকর্তাদের অপমান হবে। এই রায়ে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার বিপক্ষে। এবং দোষী সাব্যস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ততক্ষণ পর্যন্ত চাকরিতে থাকার অনুমতি নেই, যতক্ষণ না তারা উচ্চ আদালত থেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হন। এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের বেঞ্চ। আদালত কড়া মন্তব্য করে বলেছেন যে, কেন একজন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরিতে ফিরতে দেওয়া উচিত।