ইসরায়েলের জন্য ইরানের সাথে যুদ্ধ ব্যয়বহুল প্রমাণিত হচ্ছে, বেঞ্জামিনের কোষাগার খালি! আসল সমস্যা এখানে

ইসরায়েলের জন্য ইরানের সাথে যুদ্ধ ব্যয়বহুল প্রমাণিত হচ্ছে, বেঞ্জামিনের কোষাগার খালি! আসল সমস্যা এখানে

ইসরায়েলের জন্য ইরানের সাথে যুদ্ধ অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রমাণিত হচ্ছে। একদিকে ইসরায়েলি অস্ত্র ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে ইরানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।

আসল সমস্যা হলো, ইসরায়েলের কাছে বায়ু প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র নেই যে তারা দীর্ঘ সময় ধরে ইরানের সাথে যুদ্ধ করতে পারে। তবে, অস্ত্রের সংকটের মধ্যে আবারও আমেরিকা সাহায্য করেছে এবং ১৪টি কার্গো বিমান ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়েছে।

যুদ্ধের আর্থিক বোঝা
প্রতিটি বিস্ফোরণ কেবল ধ্বংসযজ্ঞই ঘটায় না, কোটি কোটি টাকাও নষ্ট করে দেয়। ইসরায়েল ইরানের উপর আক্রমণ করুক বা নিজেকে ইরানের আক্রমণ থেকে রক্ষা করুক, প্রতিটি বিস্ফোরণের সাথে যুদ্ধের খরচের বোঝা বাড়ছে। শুধুমাত্র বিমান প্রতিরক্ষাতেই ইসরায়েল প্রতিদিন ১৭ বিলিয়ন রুপি খরচ করছে। ইসরায়েলের অ্যারো এয়ার ডিফেন্সের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ১৬০ মিলিয়ন রুপি। ডেভিড স্লিংয়ের ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ৮০ মিলিয়ন রুপি।

গাজা অভিযানে ইসরায়েলের ব্যয়
এখন ইরানের আত্মঘাতী ড্রোন হোক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিদিন কোটি কোটি রুপি মূল্যের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। প্রথমে গাজা এবং তারপর ইরানের সাথে যুদ্ধে ইসরায়েল বিলিয়ন বিলিয়ন রুপি খরচ করেছে। ২০২৪ সালে গাজা অভিযানে ইসরায়েল ৬৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল। এখন ইরানের সাথে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল প্রতিদিন প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুপি খরচ করছে।

শুধুমাত্র জ্বালানি এবং অস্ত্রের জন্য প্রতিদিন ২.৫ বিলিয়ন রুপি এর বেশি খরচ হচ্ছে। ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, যখন এক লাখ সৈন্য ডিউটিতে থাকে, তখন তাদের বেতন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় প্রতিদিন প্রায় ২৭০ মিলিয়ন রুপি খরচ হয়। এত বড় খরচের মধ্যে ইসরায়েলে বিমান প্রতিরক্ষার ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে। তবে, নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা থেকে আবারও অস্ত্রের চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

আমেরিকা ও জার্মানি থেকে অস্ত্রের চালান
ইসরায়েলে ১৪টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে। আমেরিকা এবং জার্মানি থেকে অস্ত্রের চালান এসেছে। গাজা অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮০০টি কার্গো বিমান ইসরায়েলে পৌঁছেছে। কার্গো বিমানগুলি থেকে কী ধরনের অস্ত্র পাঠানো হয়েছে, তা জানা যায়নি, তবে মনে করা হচ্ছে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে।

মার্কিন মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েল অ্যারো-৩ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। আগামী দিনে অ্যারো-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক ঘাটতি হতে পারে। ভবিষ্যতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা যাবে না। আমেরিকার জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো, যদি ইরানের সাথে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে।

ইরান থেকে ইসরায়েলকে বিমান সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমেরিকা তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। বর্তমানে বিমান প্রতিরক্ষার পাশাপাশি ফাইটার জেট থেকেও ড্রোনে হামলা হচ্ছে, তবে এর জন্য এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ইরান যদি ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে ইসরায়েলের কাছে এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রেরও ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *