এই উপেক্ষাগুলি বাড়িতে আপনাকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করে, সুখ-সম্পদ চিরতরে চলে যায়

জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রে দৈনন্দিন কাজ করার জন্য সঠিক সময় ও পদ্ধতি বলা হয়েছে। যদি এই কাজগুলি ভুল সময়ে করা হয়, তাহলে খারাপ ফল পাওয়া যায়। ঘর থেকে সমৃদ্ধি এবং সুখ চলে যায়।
জ্যোতিষশাস্ত্রের টিপস:
ভুল সময়ে করা কাজ ভুল ফল দেয়। তাই হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে প্রতিটি কাজের জন্য সঠিক সময় বলা হয়েছে। যখন লোকেরা জেনে বা না জেনে এগুলিকে উপেক্ষা করে, তখন তাদের আর্থিক ক্ষতি, সম্মানহানি এবং দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে এর মূল্য দিতে হয়। এমন বাড়িতে মা লক্ষ্মী কখনও থাকেন না। দেবী-দেবতারা রুষ্ট হন। সমৃদ্ধি এবং সুখ চলে যায়।
এই কাজগুলি কখনও করবেন না
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রে কিছু কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। জেনে নিন কোন কাজগুলি করা উচিত নয়:
অন্যের থেকে কাপড় চেয়ে পরা: এতে নানা ধরনের রোগ হয়। ব্যক্তির ইতিবাচক শক্তি নেতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
অন্যের জুতা-চপ্পল পরা: এতে শনিদেব রুষ্ট হন। এর ফলে কোষ্ঠীতে শনি অশুভ প্রভাব দিতে শুরু করে এবং জীবন সমস্যায় ভরে যায়। কাজে উন্নতি হয় না।
নখ কামড়ানোর অভ্যাস: এটি খুব খারাপ অভ্যাস। এটি আত্মবিশ্বাস কমায়। ব্যক্তিকে নেতিবাচক করে তোলে।
দক্ষিণ দিকে মুখ করে খাবার খাওয়া: এতে ব্যক্তির আয়ু কমে যায়। তার আর্থিক ক্ষতি এবং সম্মানহানি হয়।
মঙ্গলবার ও শনিবার চুল কাটা: এতে ব্যক্তির জীবনে নেতিবাচকতা বাড়ে। তার তৈরি কাজ নষ্ট হয়ে যায়। দারিদ্র্য বাড়ে।
সবসময় খাবারের নিন্দা করা, খুঁত বের করা: এতে মা অন্নপূর্ণা রুষ্ট হন। ঘরে ধন-সম্পদ কমতে শুরু করে।
দক্ষিণ দিকে পা করে ঘুমানো: এতে আয়ু কমে। রোগ হয়। অভাব বাড়ে।
চুল কাটার পর স্নান না করে এবং সেই পোশাকে মন্দিরে যাওয়া: এতে দেবী-দেবতারা রুষ্ট হন।
স্নান না করে চন্দনের তিলক লাগানো: এতে অনেক ক্ষতি হয়।
রাতে কাপড় ধুয়ে বাইরে শুকানোর জন্য দেওয়া: এতে নেতিবাচকতা বাড়ে। মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন।
সন্ধ্যায় এবং রাতে ঝাড়ু-মোছা করা: সন্ধ্যায় মা লক্ষ্মী ভ্রমণে বের হন এবং বাড়িতে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যায় এবং রাতে ঝাড়ু-মোছা করলে মা লক্ষ্মী বাড়ি থেকে চলে যান। এর সাথে ধন, সুখ-সমৃদ্ধিও চলে যায়।
তুলসী গাছের কাছে জুতা-চপ্পল, ঝাড়ু-মোছা, ডাস্টবিন বা কোনো অপবিত্র জিনিস রাখা: এতে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন। এমন বাড়িতে সমস্যার পাহাড় ভেঙে পড়ে।