ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন থেকে আমেরিকার নতুন শাসক হয়েছেন, তখন থেকেই তিনি বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে তার মাথায় নোবেল পুরস্কারের ভূত চেপেছে। এমন কোনো দিন নেই যখন তিনি নোবেলের উল্লেখ করছেন না।

এবার তো তিনি নোবেল নিয়ে প্রায় অসন্তোষই প্রকাশ করেছেন। তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখে বলেছেন যে, যদিও তিনি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রেখেছেন, তবুও তিনি কখনও নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন না। এটি ট্রাম্পের এক ধরনের দুঃখ প্রকাশ। তার এই দুঃখ প্রকাশ এমন সময় সামনে এলো যখন পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

পাকিস্তানের দাবির উপর খেলছেন ট্রাম্প…
আসলে, পাকিস্তান নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে উৎসাহিত করেছে। ট্রাম্পও পিছিয়ে নেই। পাকিস্তানের দাবি যে, ভারত-পাকিস্তান সংকটের সময় ট্রাম্পের decisive কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্ব উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করেছে, তাই তাকে নোবেলের জন্য মনোনীত করা উচিত। যদিও ভারত বারবার অস্বীকার করছে যে, এতে কোনো তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা ছিল। এখন ট্রাম্পও বারবার বলছেন যে তার ভূমিকা ছিল।

নিজের প্রচেষ্টার কথাও জানালেন..
ট্রাম্প এবার নোবেলের নাম নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। একই সাথে তিনি আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার প্রচেষ্টার বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছেন। ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন যে, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে মিলে রুয়ান্ডা এবং কঙ্গোর মধ্যে দশক ধরে চলে আসা রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটাতে একটি অসাধারণ চুক্তি করেছেন। তিনি এটিকে শুধু আফ্রিকার জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্য একটি বড় অর্জন বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সোমবার ওয়াশিংটনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

‘আমি এই পুরস্কার পাব না..’
এছাড়াও ট্রাম্প আরও বলেছেন যে, ভারত-পাকিস্তান, সার্বিয়া-কোসোভো, মিশর-ইথিওপিয়া বা ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে তিনি যা কিছুই করুন না কেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন না। তিনি লিখেছেন যে, “আমি আব্রাহাম চুক্তির অধীনে মধ্যপ্রাচ্যকে একত্রিত করার ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছি, তবুও আমি এই পুরস্কার পাব না… কিন্তু মানুষ সব জানে এবং সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার।”

নিজের পোস্টে ট্রাম্প ছয়বার নোবেল শান্তি পুরস্কার শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং বারবার এই কথাটি পুনরাবৃত্তি করেছেন যে, তিনি এই সম্মান কখনও পাবেন না, তিনি যতই কিছু করুন না কেন। তবে তিনি এও যোগ করেছেন যে, জনগণ তার প্রচেষ্টা বোঝে এবং সেটাই তার জন্য আসল পুরস্কার।