ভারতের পথ বন্ধ, সৈন্ধব লবণ বিক্রির জন্য বিশ্বজুড়ে মিনতি করছে পাকিস্তান

ভারতের পথ বন্ধ, সৈন্ধব লবণ বিক্রির জন্য বিশ্বজুড়ে মিনতি করছে পাকিস্তান

ভারত কর্তৃক হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট (সৈন্ধব লবণ) আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর পাকিস্তানের লবণ শিল্পে বড় ধাক্কা লেগেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, যার ফলে কোটি কোটি ডলারের সৈন্ধব লবণের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

ভারত এই লবণের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের রপ্তানিকারকরা আমেরিকা, চীন, ভিয়েতনাম এবং ইউরোপ সহ বিশ্বজুড়ে বাজারের দিকে আশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

পাকিস্তানের বৃহত্তম লবণ খনি খেওরাতে
পাকিস্তান, বিশেষ করে পাঞ্জাব প্রদেশের খেওরা এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম সৈন্ধব লবণ খনিতে প্রায় ৩০টি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট কাজ করে। পাকিস্তান দাবি করে যে, হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট শুধুমাত্র তারাই উৎপাদন করে, ভারত বা চীন নয়।

২০২৪ সালে পাকিস্তান মোট ৩.৫ লাখ টন সৈন্ধব লবণ রপ্তানি করেছিল, যার আনুমানিক আন্তর্জাতিক মূল্য ১২ কোটি ডলার ছিল। গনি ইন্টারন্যাশনালের বরিষ্ঠ পরিচালক মনসুর আহমেদ এর মতে, ভারত এই লবণের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ছিল, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর সেখানে রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

নতুন আন্তর্জাতিক বাজারের সন্ধানে পাকিস্তান
যদিও নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতি হয়েছে, তবুও পাকিস্তানের রপ্তানিকারকরা এখন এই সংকটকে সুযোগে পরিণত করার চেষ্টা করছে। সল্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ পাকিস্তানের (SMAP) প্রধান সাইমা আখতার এর মতে, “পাকিস্তানি সৈন্ধব লবণের বিশ্বব্যাপী চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। ভারতে এই লবণ ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হত, কিন্তু এখন সেই একই লবণ ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।”

চীনে রপ্তানিতে ৪০% বৃদ্ধি
ইত্তেফাক কো ম্পা নির সিইও শাহজাদ জাভেদ এর মতে, পাকিস্তান ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনে ১৩৬.৪ কোটি কেজি সৈন্ধব লবণ রপ্তানি করেছে, যার মূল্য ছিল প্রায় ১৮.৩ লাখ ডলার। এটি ২০২৪ সালের তুলনায় ৪০% বেশি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *