‘মনে রেখো, এখনো অনেক লক্ষ্য বাকি আছে’! হামলার পর ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, কী বললেন নেতানিয়াহু?

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ (Iran-Israel War): আমেরিকা (America) ইরান এবং ইসরায়েলের (Israel) যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় (Nuclear Site) হামলা চালিয়ে ৩টি স্থানে বোমা ফেলেছে। আমেরিকা গত রাতে ইরানের ফোর্দো (Fordo), নাতানজ (Natanz) এবং ইসফাহানে (Isfahan) বোমা ফেলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এই তথ্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) তার ট্রুথ সোশ্যাল (Truth Social) অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন। এছাড়া হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অন্যদিকে, জাতিসংঘ (UN) এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরও (Benjamin Netanyahu) এই হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে।
ইসরায়েল-আমেরিকা দলবদ্ধভাবে কাজ করেছে
সংবাদ সম্মেলনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর চালানো এই হামলাকে একটি ‘চমৎকার সামরিক সাফল্য’ (Splendid Military Success) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এই সফল হামলায় আমেরিকা ইরানের বিশেষ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সুবিধা (Uranium Enrichment Facility) সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, তারা এমন একটি দলের মতো কাজ করেছেন যা সম্ভবত আগে কোনো দল করেনি। আমরা এই হুমকি দূরীকরণে অনেক এগিয়ে গেছি।
ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
এরপর তিনি ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, এখন ইরানের শান্তি স্থাপন করা উচিত। যদি ইরান তা না করে, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের এমন আরও অনেক হামলার মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরও বলেছেন যে, এই যুদ্ধ আর এগোতে পারে না। এখন হয় শান্তি হবে, নয়তো ইরানের ধ্বংস হবে। এর পাশাপাশি ট্রাম্প বলেছেন যে, ইরান মনে রাখুক, এখনো অনেক লক্ষ্য বাকি আছে। এখন যদি শান্তি না আসে, তবে আমেরিকা সেগুলোও কয়েক মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে। এই সময় তিনি জেনারেল কাসেম সুলেইমানির (Qasem Soleimani) নাম উল্লেখ করে বলেছেন যে, তিনি অনেক মানুষের প্রাণ নিয়েছেন।
কী বললেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু?
অন্যদিকে, এই হামলা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে, আমেরিকা সত্যিই অসাধারণ, আমেরিকা যা করেছে তা পৃথিবীতে অন্য কোনো দেশ করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কাজ ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হবে, কারণ আমেরিকার দ্বারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় করা এই হামলা ইতিহাস বদলে দিয়েছে।
জাতিসংঘ এটিকে সরাসরি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে
এছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres) ‘এক্স’ (X) এ পোস্ট করে লিখেছেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার করা হামলায় তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি আমেরিকার এই হামলাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সরাসরি হুমকি’ (Direct Threat) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা এই উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করুক।