ইরানি পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলা, তেহরানের নিশানায় আমেরিকান নাগরিক ও সেনারা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ফোর্বো নিউক্লিয়ার সাইটও রয়েছে। এই হামলার কথা ইরানও স্বীকার করেছে। ইরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইসফাহান এবং নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রের কাছাকাছি হামলা দেখেছেন। ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা ফোর্বো পরমাণু কেন্দ্রের একটি অংশে শত্রু বাহিনীর বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই হামলার পর ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তারা জানিয়েছে, পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পর এখন মার্কিন নাগরিক বা সেনারা ইরানের নিশানায় রয়েছে।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রবিবার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের জাতীয় শিল্পের বিকাশ থামাবে না, যা দেশের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে অত্যন্ত সফল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বলেছেন, “আমরা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র, যার মধ্যে ফোর্বো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান রয়েছে, সেগুলিতে সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সমস্ত বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে এবং নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল আকস্মিকভাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালায়, যা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির আসন্ন হুমকি রোধে প্রয়োজনীয় ছিল। ইরান, যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে, তারা ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার একটি সিরিজ দিয়ে এর জবাব দিয়েছে। এর পাল্টা হিসেবে ইসরায়েলও ইরানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।