ঋষভ পান্তের সেই শট, যা দেখে বিশ্ব হাসে! শচীনের মুখ থেকে জানুন এর আসল রহস্য

ঋষভ পান্তের সেই শট, যা দেখে বিশ্ব হাসে! শচীনের মুখ থেকে জানুন এর আসল রহস্য

যখনই ঋষভ পান্ত ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন, বিনোদনের পুরো গ্যারান্টি থাকে। পান্ত শুধু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করেন না, এমন কিছু শট খেলেন যা ফিল্ডিং দলের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে তার প্যাডেল সুইপ বা স্কুপ শট তো অবিশ্বাস্য! বল বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় আর পান্তকে পিচে পড়ে যেতে দেখা যায়। ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে ভক্তরা পর্যন্ত সবাই এই শটগুলো দেখে হাসেন। কিন্তু পান্ত কোনো আনাড়ি নন যে শট খেলতে গিয়ে পড়ে যান, বরং এর পেছনে রয়েছে এক সুচিন্তিত কৌশল। এই কৌশলটিই উন্মোচন করেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে লিডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে টিম ইন্ডিয়ার নতুন সহ-অধিনায়ক ঋষভ পান্ত তাঁর শতক পূর্ণ করেন। টেস্ট ক্রিকেটে এটি ছিল পান্তের সপ্তম শতক, আর শুধু ইংল্যান্ডেই তিনি তৃতীয়বারের মতো টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন। টিম ইন্ডিয়ার খুব কম ব্যাটসম্যানই ইংল্যান্ডে তিনটি শতক হাঁকিয়েছেন। এই ইনিংসেও পান্ত সেই সব শট খেলেছেন, যা তাঁকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি এনে দিয়েছে। বিশেষ করে স্পিনারদের বিরুদ্ধে হাঁটু গেড়ে খেলা প্যাডেল সুইপ এবং স্কুপ শট দিয়ে তিনি এবারও রান সংগ্রহ করেছেন। আর যথারীতি, তার এই শটগুলো নিয়ে তৈরি জোকস এবং মিমস সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

শচীনের বিশ্লেষণে পান্তের ‘পাগলামি’র পেছনের ‘পদ্ধতি’
সাধারণ ক্রিকেট ভক্তরা গত কয়েক বছর ধরে পান্তের এই ধরনের শট দেখে বিনোদন পেলেও, কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার এই শটগুলোর সূক্ষ্মতা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, পান্তের এই ‘পাগলামি’র পেছনে একটি ‘পদ্ধতি’ রয়েছে। টেন্ডুলকার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে, পান্ত ইচ্ছাকৃতভাবে পিচে পড়ে যান, যাতে তিনি বলের ঠিক নিচে এসে শট খেলতে পারেন।

এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান লিখেছেন, “ঋষভের পড়ে গিয়ে খেলা প্যাডেল সুইপ কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটি ইচ্ছাকৃত এবং অত্যন্ত চতুর একটি চাল। শট খেলার সময় পড়ে গেলে তাকে বলের একেবারে নিচে আসার সুযোগ দেয় এবং তারপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের সাথে সে লেগ স্লিপের উপর দিয়ে বল স্কুপ করতে পারে।”

শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক রান এবং শতকের রেকর্ডধারী টেন্ডুলকার পান্ত এবং শুভমান গিলের পার্টনারশিপের সময় হিন্দিতে তাদের আলোচনার কৌশলকেও চতুর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্পিনার শোয়েব বশিরের ওভারের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন যে, পান্ত এবং গিল ইচ্ছাকৃতভাবে সেই বোলারের সামনে হিন্দিতে কথা বলে ‘মাইন্ড গেম’ খেলছিলেন, যাতে তারা তার ছন্দ নষ্ট করতে পারেন। আর বাস্তবে সেটাই ঘটেছিল; প্রথম দিনে কার্যকর মনে হওয়া বশির দ্বিতীয় দিনে বেশ মার খান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *