মার্কিন হামলায় ফুঁসছে ইরান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি শহর ও বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা; সর্বত্র ধ্বংসলীলা

মার্কিন হামলায় ক্ষিপ্ত ইরান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রবিবার (২২শে জুন, ২০২৫) ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি স্থাপনা এবং তেল আবিবের কাছে অবস্থিত গুরিয়ান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ইরান হাইফা ও তেল আবিবে দুটি দফায় ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস জানিয়েছে যে, তারা তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তাদের ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বলেছে, “ইরানের আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কারণে পুরো ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বাজছে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তির আবেদন
ইরান ইসরায়েলে এই নতুন হামলা চালিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, মার্কিন সেনারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটি—ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে—হামলা চালিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, হামলায় বি-২ বোমারু বিমান অংশ নিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “এই হামলা একটি দুর্দান্ত সামরিক সাফল্য ছিল। ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সুবিধাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।”
‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সেনাদের ইরান পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে, তার সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, “অভিনন্দন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ এবং ন্যায়সঙ্গত শক্তি দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার আপনার সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।”
গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান ও ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এই যুদ্ধ শুরু হয় যখন ইসরায়েলি সেনারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করে এবং ইরানের শহরগুলোতে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং এটি তাদের জন্য হুমকি।