‘আমরা সব ৬টি নদী দখল করব’, বিলাওয়াল ভুট্টো আবারও যুদ্ধ হুমকি দিলেন, ভিডিও ভাইরাল

পাকিস্তান: ভারত পাকিস্তানকে শুষ্ক করার এবং সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) আর কখনও পুনরুদ্ধার না করার শপথ নিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তানের জল সরবরাহ বন্ধ করার এই সিদ্ধান্তে ইসলামাবাদে যুদ্ধের আলোচনা শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সতর্ক করে বলেছেন যে, যদি চুক্তিটি পুনরুদ্ধার না করা হয় তবে পাকিস্তান “সব ছয়টি নদী দখল করতে পারে”। বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন যে, ভারত দ্বারা সিন্ধু নদের জল বন্ধ করে দেওয়া আরেকটি যুদ্ধের আহ্বান।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে একটি মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার পর এই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছিল, যেখানে ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের দায়ী করে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ আকস্মিকভাবে স্থগিত করে দিয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক জল-বণ্টন চুক্তি ছিল যা উভয় দেশের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে শত্রুতা সত্ত্বেও টিকে ছিল।

‘ভারতের কাছে দুটি মাত্র বিকল্প আছে’
ভুট্টোর এই সতর্কবার্তা একটি জনসভায় দেওয়া হয়েছিল, যেখানে তিনি একটি স্পষ্ট বার্তা দেন: “ভারতের কাছে দুটি মাত্র বিকল্প আছে: সিন্ধু জল চুক্তিতে সম্মত হন, অথবা পাকিস্তান আরেকটি যুদ্ধ শুরু করবে।” তিনি জল বিরোধকে পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে জলকে “লাল রেখা” ঘোষণা করেন এবং সতর্ক করে বলেন যে, ভারতের এই পদক্ষেপ যুদ্ধের ঘোষণার সমান। ভুট্টো বলেন, “আমরা সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত রক্ষক এবং আমরা এর রক্ষা করব।”

‘যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না’
এই প্রথম নয় যে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে এমন কোনো মন্তব্য করেছেন। এর আগেও তিনি বলেছিলেন যে, সিন্ধু নদে হয়তো এখন জল প্রবাহিত হবে, অথবা তাদের রক্ত প্রবাহিত হবে। সিন্ধু নদ আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। ভুট্টো আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপেরও আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, পাকিস্তানের জল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে “যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।”

পাকিস্তানের ওপর প্রভাব: বাঁধ ‘মৃত স্তরে’
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তানে জলের প্রবাহ প্রায় ২০% কমে গেছে। বাঁধগুলো ‘মৃত স্তরে’ পৌঁছে যাচ্ছে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ কৃষি খাত এর মারাত্মক পরিণতি ভোগ করছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক ভুট্টোর সতর্কবাণীগুলো পুনরাবৃত্তি করেছে, ভারতের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের “লজ্জাজনক লঙ্ঘন” এবং “বিপজ্জনক নজির” বলে আখ্যায়িত করেছে। ইসলামাবাদ আইনি পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে, তবে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নেতারা নীরব রয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *