ইরানে মোসাদের ‘ব্ল্যাক উইডো’-এর আতঙ্ক, এ পর্যন্ত ইসরায়েলের ২৪ গুপ্তচর গ্রেফতার

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে আমেরিকার জড়িয়ে পড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে। মার্কিন হামলার পর ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইরানের উপর হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েল একটি নতুন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইসরায়েল তার গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ব্ল্যাক উইডোকে ইরানে মোতায়েন করেছে। মোসাদের এই ব্ল্যাক উইডো এতটাই বিপজ্জনক যে, এর কারণেই ইরানের অনেক পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর পর থেকেই ইরানে ব্ল্যাক উইডোর আতঙ্ক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
ইরানি পুলিশ ইসরায়েলি গুপ্তচরদের গ্রেফতার করছে
মোসাদের ব্ল্যাক উইডোর আতঙ্কের কারণে ইরান ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টদের ধরতে তৎপর হয়েছে। তাসনিম নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের পুলিশ বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জড়িত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করছিল।
কে এই মোসাদের ব্ল্যাক উইডো?
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানে তাদের অন্যতম গোপন ও দুঃসাহসিক মিশন পরিচালনার জন্য একজন মহিলা এজেন্টকে মোতায়েন করেছে। এই মহিলা এজেন্ট শুধু শত্রু দেশে অনুপ্রবেশ করেননি, বরং ইরানের সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণু বিজ্ঞানীদের অত্যন্ত কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন।
ফরাসি বংশোদ্ভূত মোসাদের এজেন্ট ক্যাথরিন পেরেজ শেকড, আমেরিকান চলচ্চিত্র অ্যাভেঞ্জার্স-এর ব্ল্যাক উইডোর মতোই অত্যন্ত সুন্দরী, চতুর এবং গোপন প্রশিক্ষণে পারদর্শী ছিলেন। তিনি দুই বছর আগে নিজেকে একজন ধর্মপ্রাণ জিজ্ঞাসু পরিচয় দিয়ে ইরানি সমাজে মিশে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে তার প্রভাব বিস্তার করেন। এরপর কর্মকর্তাদের বিশ্বাস জিতে তাদের বাড়িতে অতিথি হিসেবে প্রবেশ করেন এবং তাদের সমস্ত তথ্য মোসাদের কাছে পাঠাতে থাকেন।
ব্ল্যাক উইডোর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েলের নির্ভুল হামলা
এরপর যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা অনেক বেড়ে যায়, তখন ইরানের কর্মকর্তারা নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের ঘাঁটি পরিবর্তন করেন। কিন্তু তাদের সমস্ত কার্যকলাপের উপর মোসাদের ব্ল্যাক উইডো ক্যাথরিন পেরেজ শেকডের নজর ছিল, যার নির্ভুল তথ্যের কারণে ইসরায়েল ইরানের অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণু বিজ্ঞানীদের খুব সহজে হত্যা করে।