মিলানের পিয়াজ্জা দেল দুওমোতে ব্রিটিশ ছাত্রীর গণধর্ষণ, ৪০ জনের ভিড়ের পাশবিকতা

ইতালির মিলানে ৪২ জন বাংলাদেশি মুসলিম একটি ব্রিটিশ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে। ছাত্রীটি নিজেই গণমাধ্যমের কাছে এসে তার সাথে ঘটে যাওয়া পাশবিকতার কথা উল্লেখ করেছেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে, তিনি মিলানের পিয়াজ্জা দেল দুওমোতে তার বন্ধুদের সাথে নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়েছিলেন।
সেই সময় কিছু লোক ভিড়ের মধ্যে তাকে উত্যক্ত করে। পরে তাকে আলাদা করে নিয়ে যায় এবং তার পোশাক খুলতে শুরু করে।
ঘটনার পূর্ণ বিবরণ
নির্যাতিতার বর্ণনা অনুযায়ী, অভিযুক্তরা তার হাত ধরে টেনেছিল এবং শক্ত করে ধরেছিল। তাকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করে। অল্পক্ষণের মধ্যেই নির্যাতিতাকে তার বন্ধুদের থেকে টেনে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার সব পোশাক খুলে ফেলতে শুরু করে। মেয়েটি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা আরও দ্রুত তার উপর নির্যাতন শুরু করে। সে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য এত বেশি চেষ্টা করে যে তার শরীর থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। এরপর তাকে ৪০ জন পুরুষের ভিড়ের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলা হয়।
পাশবিক হাসি হাসছিল অভিযুক্তরা
নির্যাতিতা আরও জানান যে, ৪০ জন পুরুষ তাকে একসাথে ধরে রাখছিল এবং তার পোশাক খুলছিল। একজন তার উপর যৌন নির্যাতন করছিল এবং অন্যেরা ধর্ষণ করছিল। নির্যাতিতা যখন সেই নরপিশাচদের কবল থেকে মুক্তি পান, তখন তিনি অন্য এক মহিলার চিৎকার শুনতে পান। নির্যাতিতা সেই মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা তাকে আবার ধরে ফেলে এবং তার শরীরের সাথে অশালীন আচরণ করতে শুরু করে। তারা নোংরা হাসি হাসছিল এবং তাকে ধর্ষণ করছিল। নির্যাতিতা যখন এই সমস্ত কথা পুলিশকে জানান, তখন তারা প্রথমে বিশ্বাস করতে চায়নি। রক্ত দেখে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং তদন্তে জানা যায় যে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশি ছিল।