‘আমেরিকাই পরিণতির জন্য দায়ী হবে,’ ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের মধ্যে রাশিয়ার প্রবেশ!

‘আমেরিকাই পরিণতির জন্য দায়ী হবে,’ ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের মধ্যে রাশিয়ার প্রবেশ!

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে আমেরিকার প্রবেশের পর এবার ইরানের সমর্থনে মহাযুক্তি রাশিয়া প্রবেশ করেছে। তারা ইরানের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে। রাশিয়া বলেছে যে, তারা তাদের সহযোগী দেশ ইরানকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য করবে।

তারা ইরানের ওপর মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানকে ওয়ারহেড সরবরাহ করবে। তারা আরও বলেছে যে, আমেরিকার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। তারা প্রশ্ন তুলেছে যে, আমেরিকা এই হামলা থেকে কী অর্জন করেছে? রাশিয়া বলেছে যে, ইরানকে তার অনেক সহযোগী দেশ পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ আরও বলেছেন যে, আমেরিকার এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কোনো ক্ষতি হয়নি। এর মধ্যেই খবর পাওয়া গেছে যে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল মস্কো যেতে পারেন, যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন।

উল্লেখ্য, ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর এখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে নীরব থাকা সৌদি আরবও আমেরিকার এই পদক্ষেপের পর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁও এই পুরো বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন।

তাড়াহুড়ো করে পেন্টাগন বিবৃতি জারি করল, বলল – ইরানের পারমাণবিক মিশন ধ্বংস
উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিবৃতির পর পেন্টাগন তাড়াহুড়ো করে বিবৃতি জারি করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আমেরিকা শান্তি চায় এবং বিশ্বকে পারমাণবিক বিপদ থেকে মুক্ত করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল। আমেরিকা বলেছে যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ চালিয়েছে, যেখানে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা তাদের মিশনকে সফল বলে অভিহিত করেছে। এর পাশাপাশি আমেরিকা ইরানকে পরামর্শ দিয়েছে যে, তারা শান্তির পথ অবলম্বন করুক।

আমেরিকা ইরানের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল
উল্লেখ্য, আমেরিকা ইরানের ৩টি পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘাঁটিগুলো হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান। হামলা ভারতীয় সময় রবিবার সকাল ৪:৩০টায় হয়েছিল। এই হামলার পর ইরান পাল্টা হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ১০টি শহরকে নিশানা করে ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে তেল আবিব এবং হাইফার মতো শহরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। হামলার কারণে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান (Kan) অনুযায়ী, ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ১০টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করা হয়েছে। এই বিমান হামলার সময় সতর্কীকরণ সাইরেন বাজতে শুরু করে, যা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে ইরানের পক্ষ থেকে হামলা তীব্র করার পর ইসরায়েলি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের আকাশসীমা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *