ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে এবার রাশিয়াও প্রবেশ করল! মার্কিন হামলা নিয়ে এলো বড় বিবৃতি!

রাশিয়া রবিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আমেরিকা কর্তৃক চালানো হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
রাশিয়া এই হামলাগুলোকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য দেশ দ্বারা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। একই সাথে, দেশটি সতর্ক করেছে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করতে পারে এবং পরমাণু অপ্রসারণ চুক্তি (এনপিটি)-র কাঠামোতেও মারাত্মক আঘাত হানতে পারে।
রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভও এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন যে, আমেরিকার এই আগ্রাসী মনোভাবের পর ইরানকে অন্যান্য দেশ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি কটাক্ষ করে এও বলেছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখন নোবেল শান্তি পুরস্কারের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
রুশ বিদেশ মন্ত্রণালয় তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেছে, “কোনো স্বাধীন জাতির ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো, তা যে কোনো অজুহাতেই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলোর চরম অবমাননা। এই পরিস্থিতি আরও গুরুতর কারণ হামলাকারী দেশটি নিজেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।”
মার্কিন হামলার সম্ভাব্য বিকিরণ প্রভাবের মূল্যায়ন এখনও হয়নি
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে, মার্কিন হামলার কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য বিকিরণ প্রভাবের মূল্যায়ন এখনও করা যায়নি, তবে এটি নিশ্চিত যে, এর ফলে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি ব্যবস্থাকে আরও বেশি অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা তীব্র হয়েছে। এই হামলা ইতোমধ্যেই সংঘাতপূর্ণ পশ্চিম এশিয়ায় একটি বড় যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।
রাশিয়া এও বলছে যে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে তৈরি করা এনপিটি ব্যবস্থার উপর সরাসরি আঘাত, যার ফলে এর নির্ভরযোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-র পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
বিদেশ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, IAEA-কে এই বিষয়ে রাজনৈতিক চাপ থেকে সরে এসে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং পেশাদার মনোভাব নিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ রিপোর্ট পেশ করতে হবে, যা সংস্থার আসন্ন বিশেষ বৈঠকে আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে। একই সাথে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকেও এই বিষয়ে কঠোর এবং স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে এবং আমেরিকা ও ইজরায়েলের আগ্রাসী ও অস্থিতিশীল নীতিগুলোকে বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যান করা উচিত।