ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই রবিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকা কর্তৃক হামলার পর উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার শপথ নিয়েছেন।

ইরানি নেতাখামেনেইয়ের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে টুইট করা হয়েছে, যেখানে তেল আবিবের বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর শপথ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু মার্কিন হামলার কোনো উল্লেখ করা হয়নি।

আয়াতুল্লাহর অফিসিয়াল টুইটে লেখা হয়েছে, “শাস্তি চলছে। জায়োনবাদী শত্রু একটি বড় ভুল করেছে, একটি বড় অপরাধ করেছে; তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত – এবং তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তাকে এখনই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।”

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আমেরিকার হামলা
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করে আমেরিকার সেনাবাহিনী রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার তথ্য জানিয়ে বলেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তিনি ইরানকে সতর্ক করেছেন যে, যদি তারা পাল্টা জবাব দেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আরও হামলা চালানো হতে পারে।

ট্রাম্প বলেছেন যে, আমেরিকা নির্ভুলতা, তীব্রতা এবং দক্ষতার সাথে আরও এমন কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে জাতিকে সম্বোধন করে বলেছেন, “ইরানে হয় শান্তি থাকবে অথবা এমন একটি ট্র্যাজেডি হবে, যা গত আট দিনে দেখা ট্র্যাজেডির চেয়েও অনেক বেশি মারাত্মক হবে।” অন্যদিকে, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠন ফোর্দো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে, তাদের শত্রুদের খারাপ ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও তারা তাদের হাজার হাজার বিপ্লবী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়াবে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের পার্বত্য অঞ্চলে নির্মিত ফোর্দো পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টে বাঙ্কার-বাস্টার বোমা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। প্রায় ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টিং মার্কিন বোমাটি ‘জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডনেন্স পেনিট্রেটর’ নামে পরিচিত, যা মাটির গভীরে লক্ষ্যবস্তু ভেদ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহৃত হয়।