এসি কেনার সময় শুধু ‘টন’ দেখলে ঠকতে পারেন, আসল ঠান্ডা এই ফ্যাক্টর থেকে আসে!

এসি কেনার সময় শুধু ‘টন’ দেখলে ঠকতে পারেন, আসল ঠান্ডা এই ফ্যাক্টর থেকে আসে!

দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির উপরে পৌঁছে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি একটি নতুন এয়ার কন্ডিশনার (AC) কেনার কথা ভাবছেন, তাহলে এটাই সঠিক সময়। সাধারণত গ্রাহকরা ১ টন, ১.৫ টন বা ২ টন ক্ষমতার এসি থেকে বেছে নেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন যে টনের ক্ষমতা ছাড়াও আরও একটি ফ্যাক্টর আছে, যা এসির আসল পারফরম্যান্স এবং বিদ্যুৎ খরচ নির্ধারণ করে?

এখন আপনার মনে এই প্রশ্ন ঘুরছে যে, এসির টন এবং এনার্জি স্টার ছাড়া আর কোন ফ্যাক্টর আছে যা কুলিং এবং বিদ্যুৎ খরচ নির্ধারণ করে? তাহলে আপনাকে বলে দিই যে, এসির কুলিংয়ে তৃতীয় ফ্যাক্টর হলো এর ‘কুলিং ক্যাপাসিটি’ (Cooling Capacity)।

কুলিং ক্যাপাসিটি কী?
সহজ কথায় বলতে গেলে, কুলিং ক্যাপাসিটির মানে হলো এসি কতটা দ্রুত এবং কতটা কার্যকরভাবে ঘরকে ঠান্ডা করতে পারে। এটিকে ওয়াট (Watt) বা কিলোওয়াট (kW)-এ মাপা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১.৫ টনের এসির কুলিং ক্যাপাসিটি ৫০০০W পর্যন্ত হতে পারে। যদি কোনো ব্র্যান্ড এই তথ্য না দেয়, তাহলে বুঝে নিন যে তারা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করছে।

কুলিং ক্যাপাসিটির সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের সম্পর্ক
যদি কোনো এসির কুলিং ক্যাপাসিটি কম হয়, তাহলে ঘর ঠান্ডা করতে এটি বেশি সময় নেবে এবং এর কম্প্রেসার দীর্ঘ সময় ধরে চালু থাকবে। এতে বিদ্যুৎ খরচও বাড়বে। অন্যদিকে, ৩৫০০W বা ৫০০০W-এর মতো উচ্চ কুলিং ক্যাপাসিটির এসি দ্রুত ঠান্ডা করবে এবং কম বিদ্যুৎ খরচ করবে।

শুধু টন দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না
টন মানে কেবল ঘরের আকারের হিসেবে এসির সাধারণ ক্ষমতা বোঝায়। কিন্তু প্রতিটি ১.৫ টনের এসি একই রকম পারফরম্যান্স করে না। যদি দুটি ১.৫ টনের এসির মধ্যে একটির কুলিং ক্যাপাসিটি ৩৬০০W এবং অন্যটির ৫০০০W হয়, তাহলে দুটির আউটপুট বেশ আলাদা হবে।

কেনার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
ব্র্যান্ডের স্পেসিফিকেশন শীট দেখুন।
কুলিং ক্যাপাসিটি ওয়াটে অবশ্যই পরীক্ষা করুন।
এটিকে EER (Energy Efficiency Ratio)-এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
ইনফ্লুয়েন্সার বা বিজ্ঞাপনের ওপর ভরসা না করে তথ্যের ওপর ভরসা করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *