পোষ্য কুকুর-বিড়াল: মানসিক চাপ কমায়, জীবন বদলায়!

পোষ্য কুকুর-বিড়াল: মানসিক চাপ কমায়, জীবন বদলায়!

আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা ও চাপে জর্জরিত ভারতীয়রা তাদের পোষ্য কুকুর-বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মানসিক শান্তি খুঁজে পাচ্ছেন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক চাপের হরমোন কর্টিসল কমে এবং অক্সিটোসিন, যা ‘লাভ হরমোন’ নামে পরিচিত, বৃদ্ধি পায়। এটি উদ্বেগ ও চাপ কমাতে সহায়ক। বিশেষ করে ডিজিটাল দুনিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানোর পরিবর্তে, ৫৭ শতাংশের বেশি ভারতীয় পোষ্য মালিক সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস ছেড়ে তাদের পোষ্যদের আদর করতে বেশি পছন্দ করেন। পোষ্যরা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যই উন্নত করে না, বরং সামাজিক যোগাযোগ বাড়াতেও সহায়তা করে, কারণ তাদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সময় মালিকদের নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়।

পোষ্যরা শুধু মানসিক চাপই কমায় না, জীবনযাত্রার গুণগত মানও বাড়ায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯২ শতাংশ পোষ্য মালিক স্ক্রিন টাইম কমিয়ে তাদের কুকুর-বিড়ালের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। এমনকি পোষ্যদের সঙ্গে ঘুমালে ঘুমের মানও উন্নত হয়, যা স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়। একাকীত্ব দূর করতে পোষ্যরা অতুলনীয় সঙ্গী। শিশুদের সঙ্গেও তাদের বন্ধুত্ব পরিবারে আনন্দ যোগ করে। তবে, পোষ্যদের যত্ন নেওয়া বাড়ির সন্তানের মতোই দায়িত্বের। তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিদানে যথাযথ আদর ও যত্ন প্রয়োজন। অসুস্থ বা বৃদ্ধ পোষ্যকে পরিত্যাগ করা ঠিক নয়; তাই পোষ্য গ্রহণের আগে দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *