বাংলাদেশে অরাজকতা: প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারের উপর হামলা কেন?

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চলমান অরাজকতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। রবিবার রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকায় প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার উপর উত্তেজিত জনতার হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের প্রধান থাকাকালীন হুদার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জনতা তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং হেনস্থা ও মারধরের চেষ্টা করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে হুদাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়, তবে এই ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চিত্র তুলে ধরেছে।
এই হামলা অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের আমলে আরেকটি নিন্দনীয় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপি’র মামলা এবং হুদার উপর হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনতার আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতাকে প্রকট করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে।