ব্রহ্মোস নয়, এই তিন অস্ত্রে পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারে ভারত!

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বি-২ বোমারু বিমানের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ হামলার পর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানে বাঙ্কার ধ্বংসকারী বোমা ব্যবহার করে মার্কিন হামলা ভারতের কিছু নাগরিককে প্রশ্ন তুলতে প্ররোচিত করেছে—ভারত কি পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে এমন হামলা চালাতে সক্ষম? ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের উস্কানির জবাবে সংযম দেখালেও, অপারেশন সিন্দুরে তার সামরিক শক্তি প্রমাণিত হয়েছে। ভারতের হাতে রয়েছে তিনটি শক্তিশালী বাঙ্কার-বাস্টার অস্ত্র—অগ্নি-৫, ব্রহ্মোস এবং ইটি-এলডিএইচসিএম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র—যা পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা মুহূর্তে ধ্বংস করতে পারে। এই অস্ত্রগুলোর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ধ্বংসক্ষমতা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে সক্ষম।
অগ্নি-৫, ৫,৮০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, MIRV প্রযুক্তির মাধ্যমে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে আঘাত হানতে পারে। ব্রহ্মোস, ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ম্যাক ৩ গতি ও ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লায় অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানের ১১টি লক্ষ্য ধ্বংস করেছে। এদিকে, ডিআরডিও-র তৈরি ইটি-এলডিএইচসিএম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ম্যাক ৮ গতিতে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে পাকিস্তানের যেকোনো ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারবে। এই অস্ত্রগুলো ভারতের কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে, যা পাকিস্তানের হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। ভারতের এই শক্তি অঞ্চলীয় স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।