নববিবাহিতা বধূ তার স্বামীর প্রাণ কেড়ে নিল, মাত্র এক মাস আগেই হয়েছিল বিয়ে

ছত্তিশগড়ের বলরামপুর জেলা থেকে এক নববিবাহিতা বধূর নৃশংস ছবি সামনে এসেছে, যা দেখে আপনিও শিউরে উঠবেন যে, কীভাবে এক নববিবাহিতা বধূ বিয়ের এক মাস পরেই তার স্বামীকে খাবারে পোকামাকড় মারার ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, বধূ তিনবার বিষ দিয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে চতুর্থবারে সফল হয় এবং স্বামীকে হত্যার এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটায়। বর্তমানে পুলিশ অভিযুক্ত বধূকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে।
স্বামীকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা অভিযুক্ত স্ত্রী
স্বামীকে হত্যার পুরো ঘটনাটি কী?
পুরো ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের রাঙ্কা থানা এলাকার বাহোকুদর গ্রামের, যেখানে ২২ বছর বয়সী বুধনাথের বিয়ে হয়েছিল গত ১১ মে বলরামপুরের রামচন্দ্রপুর থানা এলাকার বিশনপুর গ্রামের সুনিতার সাথে। সুনিতা বিয়ের পর কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে ছিল, তারপর নিজের বাপের বাড়িতে চলে আসে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বারবার বলা সত্ত্বেও সে শ্বশুরবাড়ি যেতে অস্বীকার করে। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৫ই জুন একটি সামাজিক বৈঠক করে। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে নববিবাহিতা বধূ সুনিতাকে তার শ্বশুরবাড়ি যেতে হয়, কিন্তু সে তার স্বামীর থেকে মুক্তি চাইছিল। তার স্বামীর সাথে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না।
এই কারণে হত্যা
তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত মহিলা সুনিতার ছেলেটিকে পছন্দ ছিল না। তা সত্ত্বেও, তার পরিবারের সদস্যরা জোর করে বুধনাথের সাথে তার বিয়ে দিয়েছিল। বিয়ের তিন-চার দিন পর থেকেই অভিযুক্ত মহিলা তার স্বামীকে পথ থেকে সরানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর আগেও অভিযুক্ত মহিলা তিনবার তার স্বামীকে খাবারে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। তবে বৈঠকের পর অভিযুক্ত মহিলা যখন শ্বশুরবাড়ি আসছিল, তখন প্রথমে বাজারে যায়। বাজার থেকে পোকামাকড় মারার ওষুধ কেনে এবং শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তার স্বামীর জন্য চিকেন-ভাত তৈরি করে, যার সাথে ওষুধ মিশিয়ে দেয়। সেই খাবার খেয়ে মৃত বুধনাথের মৃত্যু হয়।
পুলিশ হেফাজতে
পুরো ঘটনা প্রসঙ্গে রাঙ্কা মহকুমার এসডিপিও রোহিত রঞ্জন সিং তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন যে, মৃত ব্যক্তির মা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার ছেলে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিল এবং তার মৃত্যু হয়। পরিবারের কথা এবং অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে হেফাজতে নেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। মহিলা প্রথমে মৃত ব্যক্তির মায়ের উপরই হত্যার অভিযোগ চাপিয়ে দেয়। তবে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে মহিলা তার অপরাধ স্বীকার করে। বর্তমানে রাঙ্কা পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে জেলে পাঠিয়েছে।