ফ্লাইট বাতিল হলে কীভাবে পাবেন রিফান্ড? জেনে নিন সময়সীমা থেকে চার্জ কাটা পর্যন্ত সব খুঁটিনাটি

ফ্লাইট বাতিল হলে কীভাবে পাবেন রিফান্ড? জেনে নিন সময়সীমা থেকে চার্জ কাটা পর্যন্ত সব খুঁটিনাটি

বিমান ভ্রমণ সাধারণত দ্রুত এবং সময় সাশ্রয়ী হলেও, ট্রেন বা বাসের তুলনায় এর খরচ বেশি। অনেক সময় অনিবার্য কারণে বিমানের টিকিট বাতিল করার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে টিকিট বাতিলের নিয়মাবলী, রিফান্ড প্রক্রিয়া এবং প্রযোজ্য চার্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এবং ওয়েবসাইটের টিকিট বাতিল ও রিফান্ডের নিয়ম ভিন্ন হতে পারে।

ডিজিসিএ (DGCA) নিয়ম এবং রিফান্ড প্রক্রিয়া

ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়, তাহলে এয়ারলাইন্স যাত্রীকে তাদের সুবিধা অনুযায়ী টিকিট পুনরায় সময়সূচী (reschedule) করার বিকল্প দেয়। এর পাশাপাশি যাত্রীদের অন্যান্য সুবিধার দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হয়। তবে, যদি যাত্রী এই বিকল্পে রাজি না হন, তাহলে টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত (refund) দেওয়া হয়। যাত্রী নিজে থেকে টিকিট বাতিল করলে রিফান্ডের নিয়ম ভিন্ন হয় এবং তা নির্ভর করে ফ্লাইট ছাড়ার কত আগে টিকিট বাতিল করা হচ্ছে তার ওপর।

টিকিট বাতিলের সময়সীমা ও চার্জ

ঘরোয়া এয়ারলাইন্সগুলির নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লাইট ছাড়ার ৭ দিন আগে টিকিট বাতিল করলে সম্পূর্ণ রিফান্ড পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি ৩ দিন আগে টিকিট বাতিল করা হয়, তাহলে প্রায় ৩০০০ টাকা চার্জ কাটা হতে পারে এবং বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হয়। ফ্লাইট ছাড়ার ৩ দিনের কম সময় থেকে উড়ানের দিন পর্যন্ত টিকিট বাতিল করলে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ কাটা হতে পারে। অনলাইনে টিকিট বাতিলের জন্য, যে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে টিকিট বুক করা হয়েছে, সেখানে লগইন করে ‘My Booking’ সেকশনে গিয়ে বাতিল করার অপশন বেছে নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বাতিল প্রক্রিয়া শেষ হলে রিফান্ড কখন পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *