আবগারি বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার বিভাগে নিযুক্ত এক মহিলা কনস্টেবলের স্বামী গুরুতর অভিযোগ করেছেন। স্বামী মুখ্যমন্ত্রীকে সম্বোধন করে জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার মান্ডরের কাছে ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। জেলাশাসক ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে অতিরিক্ত জেলাশাসক (শহর) সত্যম মিশ্রকে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

১৯শে জুন, মহিলাটির স্বামী জেলাশাসকের কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্বোধন করে একটি চিঠি জমা দেন। তাতে তিনি লিখেছেন যে, আবগারি সদর দফতরে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা তার কনস্টেবল স্ত্রীকে পদ এবং অর্থের লোভ দেখিয়ে বশ করে রেখেছেন।

স্বামীর অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি আগে আবগারি বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে স্ত্রী এবং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে কোনো বড় অফিসারের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেছেন যে, তার স্ত্রী এবং অফিসারের সম্পর্কের কথা পুরো সদর দফতরে আলোচনায় আছে। অফিসার তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।

এতে কনস্টেবলের স্বামী এবং পরিবারের সদস্যরা ভীত এবং তাদের পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্বামী তার চিঠিতে অনুরোধ করেছেন যে, দুজনের পোস্টিং আলাদা আলাদা জেলায় করে দেওয়া হোক, যাতে তারা একে অপরের সাথে দেখা করতে না পারে। এমনটা না হলে তিনি আবগারি সদর দফতরের গেটে আত্মহত্যাও করবেন। জানা গেছে যে, এই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে যে, দুজনের পোস্টিং ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের জেলায় করা হোক। অন্যদিকে, অফিসারকে সোমবার থেকে লখনউতে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরও মারামারি হয়েছিল
গত বছর এই একই বিবাদের কারণে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে মারামারিও হয়েছিল। জানা গেছে, স্বামী একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে পৌঁছে স্ত্রীকে মারধর করেছিলেন।